মতামতসম্পাদকীয়

মার্কিন ভিসা নীতি এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে এক নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছে। এই নীতির আওতায় যে কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি সেদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় – তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।

এই ভিসা নীতি নিয়ে এখন দেশে-বিদেশে আলোচনা বেশ তুঙ্গে। জাতীয় নির্বাচনের আট মাস আগে হঠাৎ করে আমেরিকা কেন এ ধরণের হুঁশিয়ারি দিল? নাকি এর পেছনে অন্য কোন গভীর ‘কৌশলগত’ হিসেব-নিকেশও আছে? বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ যে বিঘ্নিত সেটা সদ্য সমাপ্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিকে তাকালেই সহজে অনুমেয়। বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফয়জুল করীমের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও উপহাস করেছেন। তিনি সাংবাদিকদেরকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ‘তিনি (মুফতি ফয়জুল করীম) কি ইন্তেকাল করেছেন?’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন আচরণ একেবারেই অপ্রত্যাশিত। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে এবং দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত, উৎসবমূখর পরিবেশে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “এখনও যদি বলি যে, ওই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কাউকে লিজ দেব, তাহলে আমার ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নাই, কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না।” সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিষয়টি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরীক দল জাসদ ও ওয়ার্কাস পার্টির নেতারা সংসদে কথা বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০০১ সালে বিএনপি ‘গ্যাস বিক্রি করার’ মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এমন বক্তব্য কারও কাছে প্রত্যাশিত নয়।

আশাকরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে এবং “সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়-এই নীতি বাংলাদেশ পরিপূর্ণরূপে মেনে চলবে।

Back to top button