এক দশকেরও বেশি পুরনো একটি ধর্ষণ মামলায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল গুজরাটের একটি আদালত। মঙ্গলবার গুজরাটের একটি আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় সোমবারই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আসারামের মেতেরার আশ্রমে ছিলেন এক সুরাটের মহিলা। তিনি অভিযোগ করেন ওই সময়ের মধ্যে একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেন আসারাম বাপু।
২০১৩ সালে আসারামের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন সুরাটের ওই মহিলা। ওই সময়ে ৭৭ বছরের আসারামের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে আটক, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, নারীপাচার-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়। আসরাম ছাড়াও তার ছেলে নারায়ণ সাঁইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও ওই মামলায় জড়িয়ে যান আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মী, মেয়ে ভারতী ও আসারামের ৪ শিষ্যা।
আরও একটি ধর্ষণ মামলায় বর্তমানে জব্বলপুরের একটি জেলে রয়েছেন। মঙ্গলবার নির্যাতিতার আইনজীবী বলেন, আসারাম দাগী অপরাধী। এরকম একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া উচিত। ২০১৭ সালে যোধপুরের একটি আদালতও আসারামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে।
গান্ধীনগরে চান্দখেড়া থানার ওই অভিযোগ করেন ওই মহিলা। ওই মহিলা দাবি করেন, তাঁকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন আসারাম। তিনি ও তাঁর বাবা আসারানের শিষ্য ছিলেন। সেই সূত্রে তাঁর আশ্রমে তাদের যাতায়াত। কিন্তু যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের অভিযোগ তিনি জানাতে পারেননি কারণ আসারামের প্রবল প্রতাপ দেখে। শেষপর্যন্ত ২০১৩ সালে তিনি এফআইআর করতে সমর্থ হন।
আসারাম গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ ওঠে। এবারে আঙুল তোলেন বিতর্কিত ওই ধর্মগুরুর পুত্রবধু জানকী দেবী। অভিযোগ, আসারাম বাপু ও তার ছেলে জানকী দেবীর ওপর নিয়মিত মানসিক নির্যাতন চালাতেন। বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় শারীরিক নির্যাতনের মামলা রয়েছে। সেই সব মামলা তুলে নিতে তাঁর আত্মীয়দের ফোনে হুমকি দেওয়া হত বলেও অভিযোগ করেছেন জানকী দেবী। বর্তমানে অন্য একটি ধর্ষণের মামলায় আসারাম বাপু ও তার ছেলে জেলে রয়েছেন। মানসিক নির্যাতনে অভিযোগ করলেও কারা হুমকি দিত না নিয়ে অভিযোগে কিছু জানাননি জানকী দেবী।
মন্তব্য করুন