পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে অবস্থিত একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভারত হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। হামলায় স্থাপনাটির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেছে পাকিস্তান সরকার।
বুধবার (৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (NSC) জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে ভারতীয় হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং একটি “অপ্ররোচিত ও কাপুরুষোচিত আগ্রাসন” হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, ভারতীয় বাহিনী ৪৭টি বিমান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, এসবের মধ্যে কিছু যুদ্ধযান “ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর” তৈরি। একইসঙ্গে বৈঠকে ভারতীয় আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে পূর্ণ অনুমোদন দেওয়া হয়।
জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে বলা হয়, আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগে পাকিস্তানের পূর্ণ বৈধতা রয়েছে। কমিটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার জন্য প্রশংসা জানায়।
বৈঠক থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যাতে ভারতকে এ হামলার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়, পাকিস্তান শান্তিকামী হলেও আত্মমর্যাদা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস করবে না।
মন্তব্য করুন