ব্যবসায় ক্যারিয়ার গড়া হাসান আলী কঠিন সময়কে জয় করেছেন নিজের প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে। বাংলা সংবাদ পত্রিকার সঙ্গে নিজের একান্ত অনুভূতিগুলো ব্যক্ত করেছেন। তার চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো।
আপনার সম্পর্কে জানতে চাই
আমি হাসান আলী, একজন আমেরিকান রিয়েলেটর ব্যবসায়ী। আমার দেশের বাড়ি সিলেটের ছাতক, বাংলাদেশে যেটিকে লন্ডন হিসেবে সবাই চেনে। সেখানেই আমার শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা। দেশে আমার পড়াশোনার পরিধি শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায়। আমার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শেষ করার পর নতুন বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই, কিন্তু মেট্রিক পর্যন্ত আমার পড়াশোনার ইতি টানতে হয়। স্বপ্ন পূরণের জন্য পাড়ি জমাই আমেরিকায়।
আপনার কর্মজীবনের শুরুটা কিভাবে?
আমেরিকায় আসার পরে প্রথমে ওয়েল কমিউনিটি ক্লিয়ার থেকে আমার নতুন ধাপ শুরু হয়। মূলত সেখানেই আমার স্বপ্নের পরিধি বিস্তার লাভ করে।
চাকরি রেখে কেন ব্যবসাকে বেছে নিলেন?
চাকরি করার প্রতি আমার কোন আগ্রহ ছিলো না। শুরুর দিকেই ইচ্ছে ছিলো চাকরি করবো না, এমনকি প্রথম দিকে পুরাতন বাড়ি কিনে বিক্রি করতাম, পরবর্তীতে আস্তে আস্তে লাইসেন্স পাই, আর এখন সবর্দা রিয়েলেটর হিসেবে পরিচিত লাভ করি। চাকরি থেকে ব্যবসা ভালো, কেননা এখানে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়, কারো উপর নির্ভর করতে হয় না।
রিয়েলেটর ব্যবসার শুরুটা কেমন ছিলো?
শুরুর দিকে সবারই একটু হিমশিম খেতে হয়। কিভাবে কোথা থেকে শুরু করবো, যদিও আমারও একই অবস্থা ছিলো। ২০০৯ সালে তখন বেশি কাজ ছিলো না, বিশেষ করে বাঙালিদের জন্য কঠিন ছিলো, কিন্তু ৬-৭ মাস যাওয়ার পর একটু উন্নতির দিকে যায়।
আপনার ব্যবসার বর্তমান অবস্থা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চাই?
রিয়েলেটর ব্যবসার বর্তমান অবস্থা আলহামদুলিলাহ ভালো। বর্তমানে আমাদের মার্কেটিং এর বেশি পরিচিতি আসে বাঙালি কমিউনিটি থেকে, যদিও শুরুর দিকে জিলো থেকে লিড কিনতাম, তবে বেশির ভাগ এখন বাঙালি কমিউনিটি থেকেই আসে।
আপনার কোম্পানির যাত্রার শুরুটা সম্পর্কে জানতে চাই?
কোম্পানির সাথে আমার পথ চলা শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় দশ বছরের পথচলা রিয়েল এস্টেট এডভারটাইজার। সেখান থেকেই আমার পথচলা শুরু।
প্রতিবছরই কোন দিকে যাচ্ছে?
বর্তমানে উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
উক্ত পেশায় অনুপ্রেরণা কার মাধ্যমে?*
অনুপ্রেরণার বলতে আমার কাছের বন্ধু আফ্রিদি মিনহাজ। সে আমার অনুপ্রেরণা। তার পাশাপাশি মা, বাবা আর স্ত্রী আমার অনুপ্রেরণা।
কর্ম জীবনের কোন পুরস্কার বা সম্মাননা আছে কি?
আসলে তেমন কিছু সম্মাননা নেই, তবে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি সেটাই আমার জন্য বড় সম্মাননা।
আপনার জীবনের আনন্দময় ও দুঃখের স্মৃতি সম্পর্কে জানতে চাই।
আমার, না সকল বাঙালিদের শুরুর দিকে যে কঠিন সময় পার করতে হয় তা হলো ৪-৫ মাস কাজ না পেয়ে বসে থাকা, আর সবচাইতে কষ্টের বিষয় হচ্ছে লাইনে দাঁড়ানো, যেটা খুব কষ্টের। আনন্দের দিন ছিলো প্রথম কাজ সম্পন্ন করা এবং সেই টাকা তুলে নিজের কাজে ব্যয় করা।
নতুনদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?
নতুন যারা আসতে তাদেরকে স্বাগত জানাই। এই পেশায় সমস্যা হলো লোন আর ট্যাক্স নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে একাগ্রতার সাথে এখানে লেগে থাকতে হবে।
বাংলা সংবাদ সম্পর্কে কিছু বলুন?
মিশিগানে বাঙালিদের নিকট খুবই প্রিয় পত্রিকা হচ্ছে বাংলা সংবাদ। ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের মধ্যদিয়ে আলাদা স্থান করে নিয়েছে পাঠকের অন্তরে।
মন্তব্য করুন