জল জোছনার শহর সুনামগঞ্জ জেলায় জন্ম মেধাবী পুলিশ অফিসার মিল্টন রায় চৌধুরীর। মানিক রায় চৌধুরী ও নন্দিতা রায় চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র মিল্টন রায় চৌধুরী সিলেট জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। মেধাবী মিল্টন কর্মজীবনের প্রথম পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এস আই ক্যাডেট হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা তে এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য যোগদান করেন। সফলতার সাথে প্রশিক্ষণ শেষ করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মমুখরতা শুরু হয়। ধারাবাহিক সফলতায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাহপরান (রঃ) থানায় যোগদান করেন।
শাহপরান (রঃ) থানায় দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সিলেট এমসি কলেজ হতে অস্ত্র উদ্ধার করেন এবং অস্ত্র আইনে মামলার বাদী হন। এছাড়া এমসি কলেজে গণ ধর্ষণ মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ টিমের সদস্য হয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করেন মিল্টন রায় চৌধুরী। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোপনীয় টিমেও কাজ করা অভিজ্ঞতা রয়েছে। মোবাইল চোরাকারবারিদের দমনে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। সিলেট নগরের উপশহর এলাকায় বখাটে উৎপাত বন্ধে তাঁর কার্যকরি উদ্যোগ স্থানীয় অনেকের প্রশংসা কুড়ায়। মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই কাজের যোগ্যতা ও একাগ্রতার জন্য শাহজালাল উপশহর অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এর দায়িত্ব পান চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা মিল্টন রায় চৌধুরী।
২০২২ সালের মার্চ মাসে যোগ্যতার ভিত্তিতে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্য হন এবং দুই মাসের জন্য আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থায়নে জর্ডানে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে অধিকতর উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য জর্ডানে আরও এক মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। বিদেশে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বর্তমানে তিনি বিভিন্ন ভিআইপি / ভিভিআইপি প্রোগ্রামে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমানে তিনি শাহজালাল উপশহর এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং এতদ্সংক্রান্ত কার্যক্রমে বেশ প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করছেন, যার ফলে তাঁর দায়িত্বরত এলাকায় অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই কমে এসেছে। মিল্টন রায় চৌধুরী দেশ সেবার ব্রত নিয়ে পুলিশে যোগদান করেন এবং তার কর্মে আলো ছড়াচ্ছেন। হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন সর্বদা।
কল্যাণকর কর্মের মধ্যদিয়ে কর্মমুখর থাকতে চান, ইতিবাচক ভাবনা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান মিল্টন রায় চৌধুরী।
মন্তব্য করুন