ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লেখক ইশতিয়াক রুপু’র স্মৃতিচারনমূলক গদ্যের বই ‘জলজোছনার জীবনপত্র’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফ্যাশন ও উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে পণ্য তৈরিতে জোর হুয়াওয়ের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের জন্য অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল প্রবাসে দলাদলি, মারামারি, রক্তারক্তি আর কত? এতে বাঙালি কমিউনিটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ বিশ্বব্যাংকের (এমডি) অ্যানা বেজার্ড এর বিপিএল এর কিছু প্লেয়ার এর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কোচ হাথুরু বসে বসে কাজ, ডেকে আনে সর্বনাশ বড়লেখায় ভাষা শহীদদের প্রতি নিসচা’র শ্রদ্ধা নিবেদন: নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ প্রতিদিন শ্যাম্পু করা ও হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার কি চুলের ক্ষতি করে? রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ কী?

বিমান সার্ভিস বিশ্বমানের হলে দেশের অর্থ দেশে থাকতো: খন্দকার সিপার আহমেদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২ ০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খন্দকার সিপার আহমেদ। জন্ম সিলেট শহরে। পিতা খন্দকার নেসার আহমেদ ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মাতা আনোয়ারা বেগম। দু’জনেই পরলোকগত। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৭৬ সালের স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে সিলেট এমসি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। বাবার ছিল ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার। তখন থেকে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার দিকে তার আগ্রহ তৈরি হয়। ১৯৮৯ সালে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার মাধ্যমে তিনি ব্যাবসায়িক পরিমণ্ডলে প্রবেশ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন শিপারস এয়ার সার্ভিস। “ট্রাভেল ব্যবসা একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা। এই ব্যবসায় বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এর সাথে যোগাযোগ থাকে এবং বিভিন্ন দেশে যাবার সুযোগ থাকে। এজন্যই এই ব্যবসার প্রতি আমার দুর্বলতা ছিল।” তিনি জানান, সিপার আহমেদ দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ছেলেরা ব্যবসার সাথে জড়িত। মেয়ে বসবাস করেন নিউইয়র্কের জ্যামাইকায়।

সম্প্রতি প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে তিনি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিপার্স মিট গ্রিট এন্ড অ্যাসিস্ট চালু করেন। উক্ত সার্ভিস সম্পর্কে তিনি বলেন , “ সম্প্রতি আমি প্রবাসী যারা ইউরোপ এবং আমেরিকাতে যাচ্ছেন তাদের কথা চিন্তা করে ওসমানী এয়ারপোর্টে একটি সার্ভিস অফিস চালু করেছি।

যার নাম শিপার্স মিট গ্রিট এন্ড অ্যাসিস্ট। এয়ারপোর্ট এর মধ্যে কাস্টমস বেল্টে যে লাগেজ থাকে, এগুলো নামানো বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরকরণে অনেকের ঝামেলায় পড়তে দেখা যায়। সেজন্য এয়ারপোর্টে রিসিভ করা থেকে শুরু করে বোর্ডিং পাস পর্যন্ত আমরা সার্ভিস প্রদান করে থাকি। সার্ভিসটি ইউরোপ, আমেরিকা এবং কানাডাগামী একা মহিলা, বয়স্ক ও বিদেশীদের জন্য উপকারে লাগছে। শিপার্স মিট গ্রিট এন্ড অ্যাসিস্টের আরেকটা শাখা চালু আছে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিতরে।” প্রবাসীদের তিনি বাংলাদেশের অবদান রাখার আহব্বান করে বলেন, “সিলেটের অনেকে প্রাধান্য দেই দেশের বাইরে যাবার। সবাই যদি বাইরে আসি তবে দেশে কে কি করবে! আমার ভাই বোন, মেয়ে আমেরিকাতে থাকে। আমেরিকাতে থাকার যথেষ্ট সুযোগ থাকার পরেও আমি তা ফিরিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয় বাংলাদেশে গিয়ে প্রবাসীদের অনেক কিছু করার আছে।”

বাংলাদেশ যোগাযোগে বর্তমানে আমূল পরিবর্তন এনেছে। প্রবাসীদের সুবিধার্থে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সম্প্রতি ঢাকা- টরেন্টো ফ্লাইট চালু হয়েছে। তিনি বলেন, “এগুলো সব করা হয়েছে প্রবাসীদের জন্য। কিন্তু আমরা যদি সবাই বিদেশে চলে যাই তবে এই কাজ গুলো কে করবে! সেই চিন্তা থেকে দেশকে সময় দেওয়ার জন্য, দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য এবং প্রবাসীদের আসার সুযোগ করে দেবার জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেশে থাকার।”

ট্রাভেল ব্যবসায় বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের ক্ষেত্র অনেক বড়। সিলেটে এখন বিমান যোগাযোগ আগের তুলনায় অনেক ভালো। এখন রাতে প্রতিদিন কয়েকটা ফ্লাইট ওঠানামা করছে। ৪-৫ বছর আগে এটি ছিল না। আমাদের প্রচেষ্টার ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।” প্রতিটা সেক্টর থেকে সবাই যদি দেশের জন্য এভাবে কাজ করি তাহলে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ঢাকা-টরেন্টো সরাসরি ফ্লাইট চালুর ফলে মিশিগানে আসা বাংলাদেশিদের জন্য অনেক সহজ হবে।

সিলেটের যাত্রীদের ক্ষেত্রে তাদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস শেষ হবে সিলেটে। এটি একটি ভালো দিক। ঢাকাতে এসে কোন ঝামেলা ছাড়া সোজা টরোন্টোতে যেতে পারবে যাত্রীরা। “এটি আমার জানা মতে ১৫-১৭ ঘণ্টার একটি যাত্রা। রিফুয়েলিংয়ের জন্য ইস্তাম্বুলে বিমানটি থামবে। তবে ট্রানজিটের সমস্যা নেই।

সিলেট থেকে মিশিগানে আসতে আগে প্রায় ৪০ ঘণ্টার দীর্ঘ সময় লাগত সেটি এখন অর্ধেকে নেমে আসবে।”
শিপারস এয়ার সার্ভিসের সিলেটে আছে দুটি শাখা। দেশের বাইরে নিউইয়র্কে আছে একটি শাখা। তবে বর্তমানে মিশিগানে একটি শাখা খোলার জন্য তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, “ মাসখানেকের মধ্যে মিশিগানে শাখা খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।” ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা বর্তমানে কতটা চ্যালেঞ্জিং সে প্রসঙ্গে তিনি কিছুটা আক্ষেপ করে বলেন, “প্রবাসীদের জন্য বিমান কতটা সার্ভিস দিচ্ছে সেটা প্রবাসীরা ভালো বলতে পারবে। আমাদেরকে অনেকটা বিদেশি বিমান এর উপর নির্ভর করতে হয়। প্রচুর বাংলাদেশি বিদেশে যাচ্ছেন এবং বিদেশ থেকে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত আসছেন। বিদেশি বিমানগুলো এখান থেকে প্রচুর অর্থ তুলে নিচ্ছে এবং সে অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের বিমান সার্ভিস ভালো হলে প্রচুর অর্থ বেঁচে যেত। দেশের জন্য ভালো হত।”

পরিশেষে তিনি তার সামগ্রিক জীবনে প্রাপ্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “সিলেট চেম্বার অফ কমার্স প্রায় ৫২ বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এখানকার সাবেক সভাপতি হতে পেরে আমি গর্ববোধ করি। পূর্বে ট্রাভেল ট্রেড হিসেবে কেউ এখানে দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। এটা আমি মনে করি ব্যবসায়ীরা আমাকে অনেক বড় দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং আমি সেটাকে পালন করতে পেরেছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক হিসেবে ট্রাভেল ট্রেড থেকে আমি রিপ্রেজেন্টেশন করেছি। এগুলো আমার জীবনের প্রার্থী হিসেবে মনে করি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

বিমান সার্ভিস বিশ্বমানের হলে দেশের অর্থ দেশে থাকতো: খন্দকার সিপার আহমেদ

আপডেট সময় : ১২:২৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

খন্দকার সিপার আহমেদ। জন্ম সিলেট শহরে। পিতা খন্দকার নেসার আহমেদ ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মাতা আনোয়ারা বেগম। দু’জনেই পরলোকগত। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৭৬ সালের স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে সিলেট এমসি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। বাবার ছিল ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার। তখন থেকে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার দিকে তার আগ্রহ তৈরি হয়। ১৯৮৯ সালে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার মাধ্যমে তিনি ব্যাবসায়িক পরিমণ্ডলে প্রবেশ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন শিপারস এয়ার সার্ভিস। “ট্রাভেল ব্যবসা একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা। এই ব্যবসায় বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এর সাথে যোগাযোগ থাকে এবং বিভিন্ন দেশে যাবার সুযোগ থাকে। এজন্যই এই ব্যবসার প্রতি আমার দুর্বলতা ছিল।” তিনি জানান, সিপার আহমেদ দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ছেলেরা ব্যবসার সাথে জড়িত। মেয়ে বসবাস করেন নিউইয়র্কের জ্যামাইকায়।

সম্প্রতি প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে তিনি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিপার্স মিট গ্রিট এন্ড অ্যাসিস্ট চালু করেন। উক্ত সার্ভিস সম্পর্কে তিনি বলেন , “ সম্প্রতি আমি প্রবাসী যারা ইউরোপ এবং আমেরিকাতে যাচ্ছেন তাদের কথা চিন্তা করে ওসমানী এয়ারপোর্টে একটি সার্ভিস অফিস চালু করেছি।

যার নাম শিপার্স মিট গ্রিট এন্ড অ্যাসিস্ট। এয়ারপোর্ট এর মধ্যে কাস্টমস বেল্টে যে লাগেজ থাকে, এগুলো নামানো বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরকরণে অনেকের ঝামেলায় পড়তে দেখা যায়। সেজন্য এয়ারপোর্টে রিসিভ করা থেকে শুরু করে বোর্ডিং পাস পর্যন্ত আমরা সার্ভিস প্রদান করে থাকি। সার্ভিসটি ইউরোপ, আমেরিকা এবং কানাডাগামী একা মহিলা, বয়স্ক ও বিদেশীদের জন্য উপকারে লাগছে। শিপার্স মিট গ্রিট এন্ড অ্যাসিস্টের আরেকটা শাখা চালু আছে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিতরে।” প্রবাসীদের তিনি বাংলাদেশের অবদান রাখার আহব্বান করে বলেন, “সিলেটের অনেকে প্রাধান্য দেই দেশের বাইরে যাবার। সবাই যদি বাইরে আসি তবে দেশে কে কি করবে! আমার ভাই বোন, মেয়ে আমেরিকাতে থাকে। আমেরিকাতে থাকার যথেষ্ট সুযোগ থাকার পরেও আমি তা ফিরিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয় বাংলাদেশে গিয়ে প্রবাসীদের অনেক কিছু করার আছে।”

বাংলাদেশ যোগাযোগে বর্তমানে আমূল পরিবর্তন এনেছে। প্রবাসীদের সুবিধার্থে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সম্প্রতি ঢাকা- টরেন্টো ফ্লাইট চালু হয়েছে। তিনি বলেন, “এগুলো সব করা হয়েছে প্রবাসীদের জন্য। কিন্তু আমরা যদি সবাই বিদেশে চলে যাই তবে এই কাজ গুলো কে করবে! সেই চিন্তা থেকে দেশকে সময় দেওয়ার জন্য, দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য এবং প্রবাসীদের আসার সুযোগ করে দেবার জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেশে থাকার।”

ট্রাভেল ব্যবসায় বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের ক্ষেত্র অনেক বড়। সিলেটে এখন বিমান যোগাযোগ আগের তুলনায় অনেক ভালো। এখন রাতে প্রতিদিন কয়েকটা ফ্লাইট ওঠানামা করছে। ৪-৫ বছর আগে এটি ছিল না। আমাদের প্রচেষ্টার ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।” প্রতিটা সেক্টর থেকে সবাই যদি দেশের জন্য এভাবে কাজ করি তাহলে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ঢাকা-টরেন্টো সরাসরি ফ্লাইট চালুর ফলে মিশিগানে আসা বাংলাদেশিদের জন্য অনেক সহজ হবে।

সিলেটের যাত্রীদের ক্ষেত্রে তাদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস শেষ হবে সিলেটে। এটি একটি ভালো দিক। ঢাকাতে এসে কোন ঝামেলা ছাড়া সোজা টরোন্টোতে যেতে পারবে যাত্রীরা। “এটি আমার জানা মতে ১৫-১৭ ঘণ্টার একটি যাত্রা। রিফুয়েলিংয়ের জন্য ইস্তাম্বুলে বিমানটি থামবে। তবে ট্রানজিটের সমস্যা নেই।

সিলেট থেকে মিশিগানে আসতে আগে প্রায় ৪০ ঘণ্টার দীর্ঘ সময় লাগত সেটি এখন অর্ধেকে নেমে আসবে।”
শিপারস এয়ার সার্ভিসের সিলেটে আছে দুটি শাখা। দেশের বাইরে নিউইয়র্কে আছে একটি শাখা। তবে বর্তমানে মিশিগানে একটি শাখা খোলার জন্য তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, “ মাসখানেকের মধ্যে মিশিগানে শাখা খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।” ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা বর্তমানে কতটা চ্যালেঞ্জিং সে প্রসঙ্গে তিনি কিছুটা আক্ষেপ করে বলেন, “প্রবাসীদের জন্য বিমান কতটা সার্ভিস দিচ্ছে সেটা প্রবাসীরা ভালো বলতে পারবে। আমাদেরকে অনেকটা বিদেশি বিমান এর উপর নির্ভর করতে হয়। প্রচুর বাংলাদেশি বিদেশে যাচ্ছেন এবং বিদেশ থেকে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত আসছেন। বিদেশি বিমানগুলো এখান থেকে প্রচুর অর্থ তুলে নিচ্ছে এবং সে অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের বিমান সার্ভিস ভালো হলে প্রচুর অর্থ বেঁচে যেত। দেশের জন্য ভালো হত।”

পরিশেষে তিনি তার সামগ্রিক জীবনে প্রাপ্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “সিলেট চেম্বার অফ কমার্স প্রায় ৫২ বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এখানকার সাবেক সভাপতি হতে পেরে আমি গর্ববোধ করি। পূর্বে ট্রাভেল ট্রেড হিসেবে কেউ এখানে দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। এটা আমি মনে করি ব্যবসায়ীরা আমাকে অনেক বড় দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং আমি সেটাকে পালন করতে পেরেছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক হিসেবে ট্রাভেল ট্রেড থেকে আমি রিপ্রেজেন্টেশন করেছি। এগুলো আমার জীবনের প্রার্থী হিসেবে মনে করি।”