কুঁজাবুড়ি: ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাটক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ পাপেট থিয়েটার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিবেশনায় এবং ড. রশীদ হারুনের গবেষণা, পরিকল্পনা ও পরিচালনায় উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘কুঁজাবুড়ি’ গল্পের উপর নির্মিত একটি ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাটক প্রদর্শনী শনিবার (৪ মার্চ ), আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার কোর্টইয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হয়।

আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

‘বাংলাদেশের পুতুলনাট্য গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র’ দীপ্ত যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে। ‘শান্তি ও মানবিকতার জন্য পুতুলনাট্য’- এই লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ‘বাংলাদেশের পুতুলনাট্য গবেষণা উন্নয়ন কেন্দ্র’ । বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আমাদের সম্পদ। এই দেশ মাটি ও মানুষের জীবন জীবিকা শিল্প ও সংস্কৃতি এই কেন্দ্রের মূল উপজীব্য।

বিশেষ করে বিষয়বস্তু ও পরিবেশনাশৈলীর বৈচিত্র্যের মাধ্যমে শিশুর মানবিক ও নৈতিক চেতনা গঠন, প্রতিবন্ধী শিক্ষা ও চিকিৎসা হবে এই কেন্দ্রের গবেষণা এবং প্রযোজনা নির্মাণের প্রধান লক্ষ্য। আমাদের পুতুলের (পাপেট) গঠন গড়ন অবয়ব রং রূপ রেখা পোশাক অলংকার ইত্যাদি সবকিছু হবে বাংলা জনপদের হাজার বছরের ঐতিহ্যের পরিচয়-বাহক। এই কেন্দ্রে নির্মিত পুতুলনাট্যকে বলা যেতে পারে ‘গবেষণাগার পুতুলনাট্য’।

পুতুল নাটক পাণ্ডলিপি, গবেষণা, পরিকল্পনা ও সৃজন: ড. রশীদ হারুন, পুতুল নির্মাণ, পুতুলের আঙ্গিক ও বাচিক অভিনয় সৃজন: আসাদুজ্জামান আশিক, শাশ্বতি বিশ্বাস অর্থি, সোনিয়া ইয়াসমিন, মিথিলা জাহান, রেজওয়ানা রহমান তিশা, জারিন তাসনিম তুনতুন, সোহানা তানজিম, নুসরাত জাহান শিল্পী, মুনতাসির বিল্লাহ্ অর্পণ, রবিন মিয়া, শুভ্ৰা সূত্রধর, অলিম উদ্দিন আকাশ প্রমুখ।

পুতুল চিত্রণ: রশীদ হারুন সোহাগ মিস, শুভ্রা সূত্রধর, প্রযোজনা প্রস্তুত সহকারি: আসাদুজ্জামান আশিক, সুর ও সঙ্গীত পরিকল্পনা: ফাহমিদা মল্লিক মিতা, তারেক হোসেন, সঙ্গীত প্রয়োগ : তারেক হোসেন, শাশ্বতি বিশ্বাস অর্থি ,মিথিলা জাহান, সেনিয়া ইয়াসমিন, জারিন তাসনিম তুনতুন, নুসরাত জাহান শিল্পী, সমন্বয়কার: তারেক হোসেন।

আরও পড়ুনঃ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল স্মরণে সঙ্গীতানুষ্ঠান