বিশেষ প্রতিবেদনযুক্তরাষ্ট্র সংবাদলাইফ স্টাইল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণদের স্বাধীনভাবে বসবাসের তাগিদ

এদেশে প্রবীণদের সংখ্যা ৫৫ মিলিয়নেরও বেশি

একটি উজ্জ্বল রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে, ক্রিস্টিন জেনিংসকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছে।

কয়েক দিন হলো তার কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সুতরাং জেনিংসকে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে হবে।

পিঠে সমস্যা দেখা দেওয়ায় অনেক দিন আগে থেকেই তিনি গাড়ি চালানো ছেড়েছেন।

এখন কিভাবে সেখানে (ডাক্তারের কাছে) যাবেন, তা নিয়ে এই ৬৭ বছর বয়সী প্রবীণ একটু মুশকিলে পড়েছেন।

প্রবীণদের নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কেয়ার মেরিল্যান্ড এক্ষেত্রে জেনিংসকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে।

জেনিংস বলেন, “আমি ডাক্তারদের কাছে যাওয়ার জন্য ফোন করি, এবং আমি ভাগ্যবান ছিলাম যে আইরিস নামে একজন আমাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে সাহায্য করেন।”

আইরিস কোল একজন ড্রাইভার এবং তিনি গত ১৬ বছর ধরে কেয়ার মেরিল্যান্ডের জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন।

“আমি অনেক প্রবীণকে ডাক্তারের কাছে যেতে সাহায্য করেছি এবং মানুষকে সাহায্য করাকে উপভোগ করেছি,” আইরিস বলেন।

কেয়ার মেরিল্যান্ডের কার্যক্রমকে প্রশংসা করে জেনিংস বলেন, “তারা একটি নির্দিষ্ট সিস্টেমের মাধ্যমে সময় দেয় । ফলে সেবা পেতে সুবিধা হয়।”

প্রায় ৮০০ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে চালিত কেয়ার মেরিল্যান্ডের প্রধান কর্মসূচী হল প্রবীণদের পরিবহন, প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা এবং কেয়ার পরিষেবা।

“আমাদের লক্ষ্য হল প্রবীণদের মর্যাদা এবং সম্মান বজায় রেখে তাদের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা। যাতে উনারা কমিউনিটির সকল কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন,” বলেন কেয়ার মেরিল্যান্ডের মূখপাত্র আর্নল্ড।

আর্নল্ড জানান, প্রবীণদের সহযোগিতা তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। যেমন কীভাবে নিজের জীবন সম্পর্কে নতুন করে ধারণা পাওয়া যায় এবং কিভাবে নিজের ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করা যায়।

আর্নল্ড বলেন, “আমাদের প্রত্যেকের বয়স হতে চলেছে এবং অবশেষে প্রত্যেকের অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হবে।”

বর্তমান পৃথিবীর অন্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও প্রবীণদের যত্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন বলে বিবেচিত হচ্ছে।

ইউএস সেন্সাস ব্যুরো এর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫ মিলিয়নেরও বেশি লোকের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। এ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০৩৪ সালের মধ্যে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী লোকেদের সংখ্যা শিশুদেরকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

জো বাইডেন প্রশাসন প্রবীণদের জন্য পর্যাপ্ত নার্সিং হোম প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছে। সেইসাথে প্রবীণদের নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে উল্লেখযোগ্য অনুদান দিচ্ছে।

(ফিচারটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)

আরোও পড়ুনঃ একজন মুন্নি রহমান ও মানুষের জন্য তাঁর মমতা

Back to top button