চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সংস্থার (এপেক) নেতাদের ২৯তম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে শুক্রবার (নভেম্বর ১৯) গুরুত্বপূর্ণ এক ভাষণ দিয়েছেন।
ভাষণে তিনি নতুন পরিস্থিতিতে হাতে হাত রেখে এতদঞ্চলে অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গড়ে তোলায় চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
এসব প্রস্তাব এতদঞ্চলের সহযোগিতা গভীরতর করা, আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা ও চালিকাশক্তি যোগিয়েছে।
এই চারটি প্রস্তাব হচ্ছে: ‘আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা রক্ষা করে শান্তি ও স্থিতিশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠা’, ‘উন্মুক্তকরণ ও সহনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে যৌথ সমৃদ্ধ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গঠন’, ‘সবুজ ও নিম্ন-কার্বন নীতিকে কাজে লাগিয়ে দূষণমুক্ত ও সুন্দর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠা’ এবং ‘পারস্পরিক সমর্থনের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা’।
এসব প্রস্তাব অতীতের ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিস্ময়’ সৃষ্টির অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ করেছে এবং বর্তমান পরিস্থিতির সুনির্দিষ্ট উপলব্ধিও ফুটিয়ে তুলেছে।
শান্তি হচ্ছে উন্নয়নের পূর্বশর্ত। বিগত কয়েক দশকে এতদঞ্চলের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন শান্তি ও স্থিতিশীল পরিবেশের সুফল। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল কোনো শক্তির উঠান নয়। একে বড় কোনো রাষ্ট্রের আঙ্গিনা হিসেবেও দেখে উচিত নয়।
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার মতভেদ দূর করা উচিত। প্রস্তাবে আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় চীনের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে।
‘নতুন স্নায়ুযুদ্ধের’ অপচেষ্টাকে এতদঞ্চলের জনগণ কখনও সমর্থন করবে না।
(ওয়াং হাইমান ঊর্মি, সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং, চীন।)
আরও পড়ুনঃ চীনা প্রস্তাবের অপেক্ষায় এপেকের বিভিন্ন পক্ষ
মন্তব্য করুন