সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদসহ এনামুল হক বিজয়, নাইম শেখ, পারভেজ হোসেন ইমন ও মাহেদী হাসান বাদ পড়েছেন।
এর আগে আরেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম এশিয়া কাপের পরাজয়ের পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন।
সম্প্রতি বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু অস্ট্রেলিয়ায় অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের এ দল ঘোষণা করেন।
ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপে খেলতে না পারা লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহান ও হাসান মাহমুদ প্রত্যাশিতভাবেই দলে ফিরেছেন।
জিম্বাবুয়ে সফর ও এশিয়া কাপ মিস করা ইয়াসির আলী রাব্বিও দলে ফিরেছেন।
টানা ব্যর্থতার কারণে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়া নাজমুল হোসেন শান্তও ফিরেছেন দলে।
ঘোষিত নতুন এ দল থেকে প্রথম বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা নিতে যাচ্ছেন হাসান মাহমুদ ও ইয়াসির রাব্বি। বাকিরা প্রত্যেকেই বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রতিটি টুর্নামেন্টেই একমাত্র ক্রিকেটার হতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান।
তার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১০ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে সাকিব অধিনায়ক ছিলেন।
বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত এই স্কোয়াড নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ছাড়াও ত্রিদেশীয় সিরিজে অন্য দল পাকিস্তান।
যদিও ত্রিদেশীয় সিরিজের পর অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ একটি সপ্তাহব্যাপী কন্ডিশনিং ক্যাম্প স্থাপনের কথা ছিল, তারা খেলোয়াড়দের ব্যস্ত সময়সূচী বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা ১৭ ও ১৯ অক্টোবর আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে।
২৪ অক্টোবর হোবার্টে গ্রুপ-এ-র রানার্স-আপ হয়ে তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ ২৭ অক্টোবর সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপর ৩০ অক্টোবর ব্রিসবেনের গাব্বাতে গ্রুপ-বি চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর ২ নভেম্বর উপমহাদেশীয় শক্তিশালি ভারতের বিপক্ষে এবং ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে অ্যাডিলেড।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান (সহ-অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, লিটন দাস, ইয়াসির আলী রাব্বি, মুস্তাফিজুর রহমান, সাইফুদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত।
স্ট্যান্ড বাই: শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, মাহেদী হাসান এবং সৌম্য সরকার।
মন্তব্য করুন