মিশিগানের দুটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত চারজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা। তবে, আমেরিকান নাগরিক স্বাধীনতা ইউনিয়নের (এসিএলইউ) মিশিগান শাখার দায়ের করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে শিক্ষার্থীদের অভিবাসন মর্যাদা পুনর্বহাল করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, শিক্ষার্থীদের পূর্ব কোনো সতর্কতা বা ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের বৈধ অভিবাসন অবস্থান বাতিল করা হয়, যা আইনগত দৃষ্টিকোণে অযৌক্তিক ও বেআইনি। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষার্থীরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়েন এবং অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচিত হন। যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক স্টিফেন মারফি তৃতীয় মামলার নিষ্পত্তিতে একটি সমঝোতা অনুমোদন করেন। এর ফলে, শিক্ষার্থীদের বৈধতা পুনর্বহাল করা হয় এবং তাদের পূর্বে বাতিল করা অভিবাসন স্ট্যাটাসের রেকর্ড বাতিল করে দেওয়া হয়।
এসিএলইউ’র মিশিগান শাখার আইনজীবী রামিস ওয়াদুদ বলেন, “আমাদের ক্লায়েন্টদের সাহস ছাড়া আমরা এই কঠোর এবং বেআইনি আচরণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারতাম না। বর্তমান প্রশাসন নির্দিষ্ট কিছু জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ন করতে চায়, বিশেষ করে আমাদের মতো সংখ্যালঘুদের।” এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে চলমান বৈষম্যমূলক অভিবাসন নীতির একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী খুব সামান্য বা অস্পষ্ট কারণে তাদের বৈধতা হারাচ্ছেন, যার ফলে তাদের শিক্ষা জীবন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন আচরণ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে।
-সূত্র: মেট্রো টাইমস (ডেট্রয়েট)
মন্তব্য করুন