যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড পাওয়ার প্রক্রিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বেশ কিছু কঠোর পরিবর্তন এনেছে, যা বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিবাহসূত্রে গ্রিন কার্ড পাওয়ার আবেদনকারীদের জন্য আবেদনপত্র হালনাগাদ করা হয়েছে, সাক্ষাৎকারের প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করা হয়েছে এবং আর্থিক তথ্যের বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব এবং অভিবাসন পরিষেবা (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, গ্রিন কার্ডধারীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার তখনই থাকবে, যখন তারা কোনো আইন ভঙ্গ না করে এবং নিয়মিত কর পরিশোধ করে। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারীদের আয়, সম্পত্তি, ঋণ এবং সরকারি সহায়তার বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে। এছাড়াও, আবেদনকারীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা, লাইসেন্স এবং দক্ষতার তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো মূলত ‘ভয় দেখানোর কৌশল’ হিসেবে কাজ করতে পারে, যাতে কম আয় বা কম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা ব্যক্তিরা আবেদন করতে নিরুৎসাহিত হন।
বিবাহসূত্রে গ্রিন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারের প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করা হয়েছে, যা বাইডেন প্রশাসনের সময় স্থগিত করা হয়েছিল। এই পরিবর্তনের ফলে, বাংলাদেশি অভিবাসীরা গ্রিন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে আরো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন। বিশেষ করে, যাদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল বা শিক্ষাগত যোগ্যতা কম, তাদের জন্য এই নিয়মগুলো বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ইউএসসিআইএস-এর মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস এবং কাজের জন্য যারা অভিবাসন সুবিধা চান, তাদের যেন জননিরাপত্তার জন্য হুমকি না হন, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি না করেন বা কোনো ক্ষতিকর মার্কিন-বিরোধী আদর্শ প্রচার না করেন, তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর স্ক্রিনিং এবং যাচাইকরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে ইউএসসিআইএস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আইনজীবীরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন আরও কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন করতে পারে, যার মধ্যে আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের তথ্য চাওয়াও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন আরও কঠিন হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন