আটলান্টার গ্লোবাল মলের আশিয়ানা ব্যাংকুইট হলে গত ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হলো ৩৯তম ফোবানার কিক-অফ মিটিং। হোস্ট সংগঠন বাংলা ধারার আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের সূচনা হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা ধারার সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গুণী ব্যক্তিদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সম্মানিতদের মধ্যে ছিলেন লেখক ও সাংবাদিক শামসুল আলম, সংগীতশিল্পী হোসনে আরা বিন্দু, এবং তাসলিমা পাল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জর্জিয়া স্টেট সিনেটর শেখ রহমান, নাবিলা ইসলাম, এবং গুইনেট কাউন্টি ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান বেলনডা লোপেজ। তারা বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং ৩৯তম ফোবানার সফলতা কামনা করেন। ৩৯তম ফোবানার কনভেনার নাহিদুল খান সাহেল তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিভিন্ন স্টেট থেকে আগত ডেলিগেট এবং অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। ফোবানার নির্বাহী সংসদের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আবীর আলমগীর এবং মাহবুব ভূঁইয়া অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান এটর্নি মোহাম্মদ আলমগীর, রবিউল করিম বেলাল, এবং রেহান রেজা। ফোবানার বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদ রব চৌধুরী তার বক্তব্যে ফোবানার বহুমাত্রিক কার্যক্রম ও সাংগঠনিক দিক তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন হোস্ট ডিউক খান, চিফ কো-অর্ডিনেটর দিলু মওলা, সিনিয়র কনভেনার কাজী নাহিদ, এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আরেফিন বাবুল। ৩৯তম ফোবানার কনভেনার নাহিদুল খান সাহেল জানান, ফোবানা সম্মেলন সফল করতে প্রয়োজন ২০০ হাজার ডলার স্পনসর। তিনি বলেন, “সবার সহযোগিতায় এই সম্মেলন একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
হোস্ট কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে ঢাকায় একটি “মিট অ্যান্ড গ্রিট” অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে যেখানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণও থাকবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আটলান্টা কমিটির ডা. সালেহ বাদল, ডা. মীর মুজিবুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান তারেক, এটর্নি রাজু মহাজন, এবং লিয়াকত হোসেন। ফোবানার নির্বাহী সেক্রেটারি আবীর আলমগীর তার বক্তব্যে বলেন, “ফোবানার পরিধি প্রতি বছর বর্ধিত হচ্ছে এবং এটি উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করছে। এটি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
সমাপনী বক্তব্যে ফোবানার চেয়ারম্যান মাসুদ রব চৌধুরী বলেন, “সকলের সরব উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানের সফলতার প্রমাণ। ফোবানা কমিউনিটির ভ্রাতৃত্ববোধ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে।” তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফোবানার ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন। ফোবানার এই মিলনমেলায় ১১টি স্টেট থেকে অংশগ্রহণকারী এবং কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের সরব উপস্থিতি এই আয়োজনকে সফল করেছে।
মন্তব্য করুন