১২ বছর বয়সী সাল্লি হারনান্দেজ ও তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল যা ছিল একটি হোটেলের আন্ডারে। কিন্তু গত বুধবার হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের বহিষ্কার করে দেয় কারণ ছিল নতুন আবাসনবিধি। যার ফলে নতুন জায়গা খুঁজে বেড়াতে হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় জায়গায়। ঐসময় সাল্লি হারনান্দেজ হাপিয়ে হাপিয়ে কথা বলছিল এএফপির প্রতিনিধির সঙ্গে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন আবাসনবিধি কার্যকর করার কারণে এখন এভাবেই আশ্রয়ের খোঁজ করতে হচ্ছে অনেককে। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অনেক মানুষ কয়েক বছর যাবৎ আছেন কিন্তু নতুন অভিবাসন আইন অনুযায়ী অভিবাসীরা একটি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে পারবেন না ৬০ দিনের বেশি সময়। নতুন জায়গার জন্য আবেদনও করতে পারবেন না যদি না তারা পুরোনো আশ্রয়স্থলটি না ছাড়েন।
সাল্লি এসেছে কলম্বিয়া থেকে সাথে তার মা বাবা এবং ১৮ মাস বয়সী ছুট বোন সহ। যেই দিন তারা ছুটে বেড়াচ্ছিল নতুন জায়গার জন্যে সেই দিন ছিল বৃষ্টি এবং হিঁমশীতল আবহাওয়া আর এর মধ্যেই তাদেরকে খুজতে হয়েছে থাকার জায়গা।
সাল্লির মতোই একইরকম ভোগান্তিতে রয়েছেন অসংখ্য মানুষ যেমন ব্লাঙ্কা নামের আরেক নারী এএফপিকে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ক্লাস শেষ হওয়ার পর হয়তো তার মেয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না তাই সে তার মেয়েকে স্কুলে পাঠায়নি। এই দিকে নতুন এই নীতির সমালোচনা করে অনেকেই বলেন নতুন আবাসনবিধির প্রভাব বেশি পড়বে অল্প বয়সীদের উপর কারণ তাদের আবাসনের কারণে যেতে হবে নতুন কোনো স্কুলে। ব্লাঙ্কার একটি এক বছরের বাচ্চা ও রয়েছে। এই অবস্থায় হোটেল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ফলে ক্যাম্প বেডে বাচ্ছাদেরে নিয়ে জড়সড় হয়ে থাকতে হবে কিংবা প্রশাসনিক কেন্দ্রের কোনো চেয়ারে রাত কাটাতে হবে।
মন্তব্য করুন