ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে লক্ষ্য করে তৃতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। গত মাসে ইসরাইলের ওপর আকস্মিক হামলার পর গোষ্ঠীটি এবং এর অন্যতম মিত্র ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের ইরানি অর্থায়ন বন্ধ করার চেষ্টা করছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই দুই দেশ হামাসকে তাদের নৃশংসতা চালিয়ে যাবার জন্য তহবিল সংগ্রহ ও তা ব্যবহারের ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে।
ইয়েলিন বলেন, “হামাসের কর্মকাণ্ড ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে এবং একই সাথে দেখিয়েছে সন্ত্রাসবাদ বিচ্ছিন্নভাবে ঘটে না। আমাদের অংশীদারদের সাথে একত্রে আমরা হামাসের আর্থিক অবকাঠামোর অবনতি ঘটাতে, তাদের বাইরের তহবিল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাই। তাদের জঘন্য কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের জন্য নতুন তহবিল চ্যানেলগুলি বন্ধ করার জন্য আমরা পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যাচ্ছি।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, “হামাস ও এর সহযোগীদের অপব্যবহার থেকে” আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থাকে রক্ষা করার লক্ষ্যেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইসরাইল বলছে, হামাস যোদ্ধারা গত মাসে ইহুদি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ১,২০০ লোককে হত্যা করেছে।তারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেছে, যাদের মধ্যে মাত্র চারজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। অপরদিকে ইসরাইলের বিমান হামলায় হাজার হাজার নারী ও শিশুসহ ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে হামাসের মেডিকেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন ও অন্যান্য দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
বাংলা সংবাদের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
মন্তব্য করুন