ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূল থেকে বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে ফরাসি দাতব্য সংস্থা এমএসএফ-এর উদ্ধারকারী জাহাজ জিও ব্যারেন্টস। এর মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও রয়েছেন।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উদ্ধারকারী জাহাজের নাবিকেরা। খবর ইনফোমাইগ্রেন্টসের।
উদ্ধারকারী জাহাজে সংবাদ সংগ্রহে থাকা ইনফোমাইগ্রেন্টস-এর বিশেষ প্রতিনিধি মার্লেন পানারা বলেন, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে লিবিয়া উপকূলের আন্তর্জাতিক জলসীমায় উদ্ধার অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, ওই সময় একটি মোটর চালিত নৌকায় ঝুঁকিতে থাকা ৩০ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে জিও ব্যারেন্টস জাহাজে তোলা হয়। অভিবসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আসা নৌকাটি ছিল সাদা ফাইবারগ্লাসের তৈরি।
এই ৩০ বাংলাদেশিকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় নেই কোনো সরকারি উদ্ধারকারী জাহাজ। বছরের পর বছর ধরে গুটি কয়েক বেসরকারি উদ্ধার জাহাজ এ রুটে সক্রিয় থাকলেও ইতালিসহ বিভিন্ন সরকারের নানা আইনি মারপ্যাঁচে বেগ পেতে হচ্ছে এনজিওগুলোকে।
জানা গেছে, নভেম্বরের শুরুতে ভূমধ্যসাগরে নৌকা থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারের পর জার্মান উদ্ধারকারী জাহাজ সি-আই ফোরকে আবারও ইতালিতে আটক করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। লিবিয়ার উপকূলরক্ষীদের নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগে জাহাজটিকে আটক করা হয়। পাশাপাশি জাহাজটিকে তিন হাজার ইউরো জরিমানা করেছে ইতালি।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সলিল সমাধি হিসেবে পরিচিত সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টারত অভিবাসীদের মধ্যে শীর্ষে আছে মিশর, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফ্রিকান দেশগুলোর নাগরিকেরা।
অনিয়মিত অভিবাসীদের সাগর পথে আসার সংখ্যা না কমলেও ইতালিতে দিন দিন কঠিন করা হচ্ছে আশ্রয় আইন। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন আশ্রয়প্রার্থীরা।
ক্যাম্পে আবাসন সংকট, আশ্রয়প্রার্থীদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাখা, স্বাস্থ্য সুবিধাসহ রাজনৈতিক আশ্রয়ের নানা দিক কঠোর করে অভিবাসীদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে ইতালির কট্টর ডানপন্থি সরকার।
এদিকে অনিয়মিত অভিবাসীদের ঠেকাতে ইতালির সঙ্গে থাকা সীমান্তে ৫০০ জনেরও বেশি সীমান্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে ফরাসি সরকার।
মন্তব্য করুন