ইসরাাইল জানিয়েছে যে তারা হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে জরুরি যুদ্ধকালীন ঐকমত্যের সরকার গঠন করছে এবং একই সাথে গাজা সীমান্তের কাছে তিন লক্ষ সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে যা কীনা ফিলিস্তিনী ছিটঁমহলে স্থলযুদ্ধ চালাতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতেনইয়াহু সাবেক প্রতিরক্ষা প্রধান বেনি গান্টজকে নিয়ে যুদ্ধকালীন এই মন্ত্রীসভা গঠন করেন। বেনি গান্টজ হচ্ছেন মধ্যপন্থি বিরোধীদল ইউনাইটেড ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির নেতা। আর এর সঙ্গে রয়েছেন বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইউয়াভ গ্যালেন্ট যাতে করে তাঁরা এক মাত্র হামাসকে মোকাবিলা করার দিকে নজর দিতে পারেন।
নেতেনইয়াহুর ডানপন্থি সরকারের মন্ত্রী সভার সদস্যদের সঙ্গে মিলে এই অস্বাভাবিক ব্যবস্থা , বহু বছরের তিক্ত রাজনৈতিক বিভাজনের পর এক ধরণের ঐক্য সাধন করলো।
নেতেনইয়াহু গাজায় হামাস সরকারের পতন ঘটানোর প্রত্যয় প্রকাশ করেছেন যাতে জঙ্গিরা যেন আর কখনো ইসরাইলকে হুমকি দিতে না পারে।
পাঁচ দিনের এই লড়াইয়ে হতাহতের সংখ্যা মারাত্মক। ইসরাইল বলছে ২২ জন আমেরিকানসহ ইসরাইলের ভেতরে তাদের ১,২০০ নাগরিক এবং বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে এবং আরও ২,৭০০ জন আহত হয়েছেন। ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজ বলছে আরও ১৭ জন আমেরিকানের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ও দিকে ফিলিস্তিনিরা বলছে যে ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণে তাদের ১,০৫৫ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ৫,২০০ জন আহত হয়েছেন। গাজায় স্থল আক্রমণ চালানো হলে উভয় পক্ষের হতাহত হবার সংখ্যা নিশ্চিত ভাবেই আরও বৃদ্ধি পাবে।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পরিস্থিতির দিকে নিবিড় নজর রাখছে।
বাইডেন বলেন বুধবার সকালে তিনি নেতেনেইয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে এই দুই নেতার মধ্যে এটি ছিল চতুর্থ ফোনালাপ।
গাজায় জঙ্গিরা আনুমানিক ১৫০ জনকে পণলবন্দী করে রেখেছে যাদেরকে তারা ইসরাইল থেকে জোর করে নিয়ে এসেছে , এদের মধ্যে রয়েছে সৈন্য, নারী, পুরুষ. শিশু এবং বয়স্ক লোকজন। তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানা যায়নি । তাদের স্বজনরা টেলিভিশন সাক্ষাত্কারগুলিতে তাদের মুক্তির আবেদন জানাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে বুধবারও ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের শহর আশকেলনে ভারি গোলা নিক্ষেপ। এই শহরটি গাজা সীমান্তের উত্তরে স্বল্প দূরে অবস্থিত । গাজায়ও ইসরাাইলের বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরাইল ২৩ লক্ষ ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত গাজায় খাদ্য, পানি, জ্বালানি এবং ওষুধপত্র পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। সীমান্ত পারাপারের জায়গায় ইসরাইলি বিমান হামলার পর মিশর থেকে এক মাত্র সরবরাহ পথটিও বন্ধ হয়ে যায।
মন্তব্য করুন