চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব মিশিগানের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৯ জুলাই) মিশিগানের ওয়ারেন সিটির হলমিচ পার্কে জাঁকজমকপূর্ণ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি।
এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে বার্ষিক বনভোজনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বনভোজন উপ-কমিটির আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ চৌধুরী (কাপ্তান)। তার সঙ্গে ছিলেন কমিটির সভাপতি, সম্পাদকসহ সকল অ্যালামনাই। তারপরেই শুরু হয় দিনের অন্যান্য কার্যক্রম।
কার্যক্রমের মধ্যে ছিল খেলাধুলা, নাচ, গান ও রাফেল ড্রসহ বিনোদনের বিভিন্ন আয়োজন। শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা পাশাপাশি প্রিয় সহকর্মী ও বন্ধু-বান্ধবীদের আড্ডা-গান-গল্পে দিনটি ছিলো অনবদ্য। বন্ধু-বান্ধবীদের অনেকেই ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতিচারণে ছিলেন মশগুল।
এস.এম. হাসান ইকবাল, মোহাম্মদ আপ্তাব ও পি.কে চন্দের যৌথ সঞ্চালনায় ভোজনপর্ব শেষে শুরু হয় আলোচনা সভা। সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান।
সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মইন দিপু’র সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান আকর্ষণ ছিলেন, টেক্সাস থেকে আগাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী ও মিনেসোটা থেকে আগত ফখরুন নেছা শিল্পী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা, রাজশাহী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট-এর সাবেক শিক্ষার্থীরা। আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, প্রেসক্লাব নেতবৃন্দ, হ্যামট্রামিক সিটির কাউন্সিলবৃন্দ, ওয়ারেন সিটির কমিশনারবৃন্দ, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দসহ মিশিগানবাসী।
আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব মিশিগানের পক্ষ থেকে বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়।
অত্যান্ত জাঁকজমকপূর্ণ এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে আমাদের নিজেদের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় করা। আমরা আমাদের এই সংগঠনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সামাজিক কাজ কর্ম করে থাকি। দেশের বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় আমাদের সংগঠন সাহায্য ও সহযোগিতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
সংগঠনের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রম ইতিমধ্যেই কমিউনিটিতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে বলেও দাবী করেন লুৎফুর রহমান।
সবশেষ র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বার্ষিক এই মিলনমেলা।
মিশিগান নিয়ে আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্য করুন