আচমকাই অবসর নিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এই কারণে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনেও এসেছিলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। আর দেশব্যাপী যখন তামিম শোক, তখন সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্ন কেমন হতে পারে, তা বেশ ভালোভাবেই আঁচ করতে পেরেছিলেন দিনাজপুরের এই ক্রিকেটার। তাই বোধ হয়, পূর্ণ মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন তিনি।
তামিমের অবসর প্রসঙ্গে লিটনের ভাষ্য, আমি বিষয়টা জানতে পেরেছি, দুপুর একটার দিকে। স্বাভাবিক বিষয়, আমি অনেক দিন ধরে তার সঙ্গে খেলেছি। এ রকম একটা সিদ্ধান্ত আসবে, এটা আমরা কেউই উপলব্ধি করতে পারিনি। তবে এটা সম্পূর্ণ বড় ভাইয়ের (তামিম) সিদ্ধান্ত। উনি এতদিন ধরে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন, অনেক কিছু দিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত এই অধিনায়কের মন্তব্য, আমরা সবাই যেন উনি (তামিম) যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন, সেটাকে সম্মান করি। আমাদের সবারই তা করা উচিত। সবারই একটা ব্যক্তিগত পরিকল্পনা থাকে।
ওপেনিং পার্টনারকে মিস করবেন কি না প্রশ্নে লিটনের দাবি, বলাটা খুব কঠিন। আমি আজকে আছি, কালকে ইনজুরি হয়ে গেলে কিন্তু বাংলাদেশ আমাকে মিস করবে না, এটাই স্বাভাবিক। সামনের দিকে যাওয়ার পথে নতুন ক্রিকেটাররা আসতে থাকবে। তারা আসবে, আমরা চলে যাব। এটা হতেই থাকবে। অবশ্যই উনি যদি থাকতেন, ভালো হতো, না-ও হতে পারত। এখন যেহেতু নেই, আমার মনে হয়। এটা নিয়ে আর কথা বলার দরকার নেই।
এদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে লিটনের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি সকালেই প্রকাশ্যে এসেছে। হুট করেই অধিনায়কত্বের বাড়তি দায়িত্ব; অন্যদিকে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেরে ১-০তে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
তাই সব মিলিয়ে বাড়তি চাপ অনুভব করছেন কি না প্রশ্নটি বেশ হালকাভাবেই নিলেন লিটন। তার (লিটন) জবাব, ‘না ভাইয়া, চিল (হাসি)।’
অন্যদিকে এর আগেও লাল-সবুজের নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন। সাফল্যও রয়েছে তার ঝুলিতে। এবার সুযোগ পেয়ে নতুন কিছুর পরিকল্পনা লিটনের। তার মতে, বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করাটা গর্বের বিষয়। আগেও আমি চেষ্টা করেছি দলকে সেরা কিছু দিয়ে ম্যাচ জেতানোর। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না। এবারও আমি চেষ্টা করব, ভালো কিছু করতে।
খেলাধুলা নিয়ে আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্য করুন