ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লেখক ইশতিয়াক রুপু’র স্মৃতিচারনমূলক গদ্যের বই ‘জলজোছনার জীবনপত্র’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফ্যাশন ও উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে পণ্য তৈরিতে জোর হুয়াওয়ের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের জন্য অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল প্রবাসে দলাদলি, মারামারি, রক্তারক্তি আর কত? এতে বাঙালি কমিউনিটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ বিশ্বব্যাংকের (এমডি) অ্যানা বেজার্ড এর বিপিএল এর কিছু প্লেয়ার এর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কোচ হাথুরু বসে বসে কাজ, ডেকে আনে সর্বনাশ বড়লেখায় ভাষা শহীদদের প্রতি নিসচা’র শ্রদ্ধা নিবেদন: নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ প্রতিদিন শ্যাম্পু করা ও হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার কি চুলের ক্ষতি করে? রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ কী?

হ্যামট্রামিকে লেবার ডে প্যারেড সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জানান দিল বাঙালিরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২ ০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিশিগানের হ্যামট্রামিক সব সময় বাঙ্গালীদের পদচারণায় মুখরিত। বাঙালিরা বিদেশের মাটিতে পা রেখেছেন ঠিকই তবে তাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাননি। রেখেছেন অটুট বন্ধন। সেটি প্রমাণ করে সম্প্রতি হ্যামট্রামিক সিটি আয়োজিত লেবার ডে’র প্যারেডে। সেদিন বাঙালিরা তাদের প্রতিদিনের পোশাক বাদ দিয়ে গায়ে জড়িয়ে নেন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক। পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, গামছা, শাড়ি, বাঁশি ইত্যাদি বাঙালির ঐতিহ্য সেদিন পরিণত হয় সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সেদিন বাঙালিরা ভিনদেশিদের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে নাচ-গান করে অনুষ্ঠানকে আরো রাঙিয়ে তোলেন।

আমেরিকায় ৫ ই সেপ্টেম্বর লেবার ডে হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর এই দিনে নানা আয়োজন হয়ে থাকে। তবে এ বছর যোগ হয়েছে হ্যামট্রামিক শহরের ১শ বছর পূর্তি। এজন্য এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমেরিকায় অবস্থান করা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলে তাদের নিজ নিজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য মার্চে অংশগ্রহণ করে থাকে। বাংলার সংস্কৃতিকে যারা লালন করেন তারা অংশগ্রহণ করেন পরিবারসহ। হ্যামট্রামিক শহরের জোসেফ কম্পাউন্ডে অনুষ্ঠিত লেবার ডে প্যারেড বড় আয়োজনে রূপ নেয়।
বাংলাদেশী ছেলেরা পরে আসে পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, গামছা ও ফতুয়া। মেয়েদের দেখা যায় রঙ-বেরঙের শাড়ি সহ। বাচ্চারা হাজির দেশীয় পোশাকে। অনেকের হাতে দেখা যায় বাঁশের বাঁশি। প্যারেডে শত শত গাড়ির সামনে লাল সবুজের পতাকা সহ হাটে দেখা যায় অনেকের। সত্যিই এক অভাবনীয় মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে লেবার ডে প্যারেড।
নিউইয়র্ক থেকে আগত পাঞ্জাবি পরিহিত এক এক বাঙালি বলেন, লেবার ডে প্যারেডে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি গর্বিত কারন এদিন হাজার হাজার ভিনদেশী মানুষের সামনে আমি আমার দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে পেরেছি। এটি অবশ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তার পূর্বপুরুষদের সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হ্যামট্রামিকে লেবার ডে প্যারেড সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জানান দিল বাঙালিরা

আপডেট সময় : ০৮:১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

মিশিগানের হ্যামট্রামিক সব সময় বাঙ্গালীদের পদচারণায় মুখরিত। বাঙালিরা বিদেশের মাটিতে পা রেখেছেন ঠিকই তবে তাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাননি। রেখেছেন অটুট বন্ধন। সেটি প্রমাণ করে সম্প্রতি হ্যামট্রামিক সিটি আয়োজিত লেবার ডে’র প্যারেডে। সেদিন বাঙালিরা তাদের প্রতিদিনের পোশাক বাদ দিয়ে গায়ে জড়িয়ে নেন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক। পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, গামছা, শাড়ি, বাঁশি ইত্যাদি বাঙালির ঐতিহ্য সেদিন পরিণত হয় সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সেদিন বাঙালিরা ভিনদেশিদের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে নাচ-গান করে অনুষ্ঠানকে আরো রাঙিয়ে তোলেন।

আমেরিকায় ৫ ই সেপ্টেম্বর লেবার ডে হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর এই দিনে নানা আয়োজন হয়ে থাকে। তবে এ বছর যোগ হয়েছে হ্যামট্রামিক শহরের ১শ বছর পূর্তি। এজন্য এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমেরিকায় অবস্থান করা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলে তাদের নিজ নিজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য মার্চে অংশগ্রহণ করে থাকে। বাংলার সংস্কৃতিকে যারা লালন করেন তারা অংশগ্রহণ করেন পরিবারসহ। হ্যামট্রামিক শহরের জোসেফ কম্পাউন্ডে অনুষ্ঠিত লেবার ডে প্যারেড বড় আয়োজনে রূপ নেয়।
বাংলাদেশী ছেলেরা পরে আসে পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, গামছা ও ফতুয়া। মেয়েদের দেখা যায় রঙ-বেরঙের শাড়ি সহ। বাচ্চারা হাজির দেশীয় পোশাকে। অনেকের হাতে দেখা যায় বাঁশের বাঁশি। প্যারেডে শত শত গাড়ির সামনে লাল সবুজের পতাকা সহ হাটে দেখা যায় অনেকের। সত্যিই এক অভাবনীয় মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে লেবার ডে প্যারেড।
নিউইয়র্ক থেকে আগত পাঞ্জাবি পরিহিত এক এক বাঙালি বলেন, লেবার ডে প্যারেডে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি গর্বিত কারন এদিন হাজার হাজার ভিনদেশী মানুষের সামনে আমি আমার দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে পেরেছি। এটি অবশ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তার পূর্বপুরুষদের সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন করবে।