সিনচিয়াংয়ের সৌন্দর্য

সিনচিয়াং যেন এক সুন্দর পেইন্টিং, যার উপজীব্য জীবন্ত দৃশ্যাবলী। এর সৌন্দর্য সবাইকে আকৃষ্ট করে, এখানে আসতে করে প্রলুব্ধ।

সিনচিয়াংয়ে আছে বিস্তীর্ণ মরুভূমি, বিশ্ববিখ্যাত বৌদ্ধ গুহা, সুমধুর কুরআন-পাঠ, লম্বা লম্বা পপুলাস ইউফ্রেটিকার বন, ‘থিয়ান শানে’-র বরফ ও তুষার যা কখনও গলে না।

এখানে আছে কানাসের রহস্যময় ও দীর্ঘ পৌরাণিক কাহিনী, আছে সবুজ মুক্তার মতো তুর্পান আঙ্গুর। এ সব যেন শতকণ্ঠে বলছে: এসো, দেখো, সুন্দর সিনচিয়াং।

সিনচিয়াং মানে ‘থিয়ান শান’ নামক তুষারাবৃত পাহাড়ের গভীরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বন। এখানকার সবুজ ঘাস কার্পেটের মতো, এখানে পাখি গান গায়, শোনা যায় ঝরনার সমধুর শব্দ। এখানে আছে গভীর উপত্যকা ও সাধারণ উপত্যকা; আছে ‘চিয়ান নান’-এর সূক্ষ্ম ও সুন্দর দৃশ্য। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য যেন উত্তর-পশ্চিম চীনের রুক্ষ ও রাজকীয় দৃশ্য।

সিনচিয়াংয়ের পপুলাস ইউফ্রেটিকার বন সম্পর্কে একটি কথা প্রচলিত আছে। কথাটি এমন: হাজার বছরেও এই বন মারা যাবে না; মারা গেলেও পরবর্তী হাজার বছরে এর পতন হবে না; পতন হলেও, পরবর্তী হাজার বছরে এটি ক্ষয়প্রাপ্ত হবে না। আসলে, এই আপাত অদ্ভুত কথা দিয়ে এই বনের সৌন্দর্য ও বিশালতাকে প্রকাশ করা হয়েছে।

সিনচিয়াং চিরকাল একটি মার্জিত ও প্রাচীন এলাকা। এখানে প্রচুর সুস্বাদু তরমুজ ও ফলমূল জন্মায়। প্রাচীন রেশমপথের আরম্ভবিন্দু এই অঞ্চল, দাঁড়িয়ে আছে পশ্চিম চীনের সীমান্তে। বিশ্বের প্রাচীন সংস্কৃতি যেন এখানে এসে মিশেছে, টিকে আছে বিশ্বের বিস্ময়রূপে।

(ওয়াং হাইমান ঊর্মি, সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং, চীন।)