“মানসিক স্বাস্থ্য সার্বজনীন মানবাধিকার” এই প্রতিপ্রাদ্যকে নিয়ে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিশ্বব্যাপী পালিত হলো “বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস”।
এই দিনে কক্সবাজারের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশন এবং রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজের পক্ষে অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রিয়াসাত ইফতেখার হোসেন, পিএসসি,এমফিল,এইসি, এবং হোপ ফাউন্ডেশনের পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান উক্ত সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে হোপ ফাউন্ডেশন রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেশনে সহায়তা দিবে।
উক্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নোবেল বড়ুয়া। আরোও উপস্থিত ছিলেন হোপ হসপিটালের চীফ সার্জন ডাঃ নৃন্ময় বিশ্বাস, হোপ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ শওকত আলী, রামু স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ফোকাল পার্সন এইচ এম সাইদুর রহমান, হোপ ফাউন্ডেশনের সাইকোলজিস্ট মোঃ খাইরুল আকন্দসহ প্রমূখ।
মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচি হোপ ফাউন্ডেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেবাসমূহের মধ্যে একটি। বর্তমানে বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনোসামাজিক সহায়তা পরিষেবার অভাব মেটাতে, হোপ ফাউন্ডেশন ২০১৯ সাল থেকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমসমুহ ব্যাপকভাবে প্রসারিত করেছে।
এই কার্যক্রমটি কক্সবাজার জেলায় বসবাসকারী স্থানীয় জনগণ এবং রোহিঙ্গা উভয় সম্প্রদায়ের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনোসামাজিক সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, হোপ ফাউন্ডেশন ২০২২ সালে ২,৮৪৬ জন সেবা গ্ৰহীতাকে মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনোসামাজিক সেবা প্রদান করেছে।
হোপ ফাউন্ডেশনের মানসিক স্বাস্থ্য দল ব্যক্তিগত কাউন্সেলিং, সহায়তা গোষ্ঠী, সম্প্রদায়ের সংহতি এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে উপকারভোগীদের সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনোসামাজিক সহায়তা প্রদান করে আসছে।
মানসিক স্বাস্থ্য টিমটি হোপ ম্যাটারনিটি অ্যান্ড ফিস্টুলা সেন্টার, হোপ ফিল্ড হাসপাতাল ফর উইমেন এবং হোপ বার্থ সেন্টারসমূহের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ প্রদান করছে।
মানসিক স্বাস্থ্য দলটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সুইডেন দূতাবাসের সহায়তায় পরিচালিত ‘এমএইচজিএপি’ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এছাড়াও একজন স্থানীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দ্বারাও হোপ হসপিটালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
হোপ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ডাঃ ইফতিখার মাহমুদ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবাসমূহকে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ প্রদান করেছেন আর এই কারণে তিনি আমেরিকার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ‘বিশ্ববিদ্যালয় অব ন্যাবরাস্কা’ এর সাথে হোপ ফাউন্ডেশনের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক উন্নততর গবেষণা ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত যায়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কক্সবাজারের কৃতিসন্তান আমেরিকা প্রবাসী ডাঃ ইফতিখার মাহমুদ ১৯৯৯ সালে হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ নামক এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই হোপ ফাউন্ডেশন মানবতার সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।