বিশেষ প্রতিবেদন

বাংলা সংবাদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল

দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক

অনলাইনে কিছু কিছু ব্লগারদের সরকার বিরোধী কার্যকলাপ উল্লেখ করে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, এসব ব্লগারেরা ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অবাধ বাক স্বাধীনতার কথা বলে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলে।

তারা বিভিন্ন উন্নত দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য এটাকে একটা পন্থা হিসেবে ব্যবহার করে তবে এই ধরনের তৎপরতা এখন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গিয়েছে। এখনও তারা ইউটিউবে দেশের বিরুদ্ধে, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

সময় এখন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাড়ানোর এক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আপনাদেরও রয়েছে অনেক ভূমিকা। নিজেদের দেশ, ইতিহাস, ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকার কোনো কারণ নেই। সরকার পরিচালনায় যে দল থাকে তাদের যেমন ইতিবাচক দিক থাকে তেমনি নেতিবাচক দিকও থাকে।

গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই হতে পারে কিন্তু মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে সরকারকে বা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এই কাজগুলো থেকে আমার মনে হয় আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অথবা গণমাধ্যমে আমাদের আরেকটু সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

কারণ কিছু কিছু মানুষ বা প্রতিষ্ঠান থাকবেই তারা ব্যক্তিগত স্বার্থে বা দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত মতামতকে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এর বিরুদ্ধে আমি মনে করি আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার সম্পাদক ‍ও প্রকাশক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হ্যামট্রামিক শহরে সফরকালে মিশিগানে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর বাংলা সংবাদের সাথে এক আলাপচারিতায় মিলিত হন। উল্লেখ্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।

আমরা যে যাই করি না কেন, স্বাধীনতার প্রশ্নে আমাদের মনে হয় কোন ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকার কোন সুযোগ নেই। এইসব সমালোচনাকারীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এই চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেন।

আমি মনে করি এদের সঙ্গে আমাদের আপস করা বা এদের সঙ্গে সহাবস্থান করার কোনো সুযোগ নেই। আমি মনে করি এই জায়গায় আমাদের একদম জিরো টলারেন্সে যেতে হবে। বিরোধীতা করতেই পারে অন্য যেকোন বিষয় নিয়ে, কিন্তু আমাদের একমাত্র বা আমাদের বাঙালি জাতির সব থেকে গৌরবোজ্জ্বল যে অর্জন, সেটা হল আমাদের একটি রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দেশ ও পতাকা পেয়েছি, তার জন্য আমাদের অবশ্যই গর্বিত হওয়া উচিত।

আমাদের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সামাজিক ন্যায়বিচার, সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা যদি সত্যিকারের একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যেতে চাই তাহলে এই বিষয়গুলোতে আমাদের কোন ধরনের আপোস করার সুযোগ নেই। আর একমাত্র আওয়ামী লীগের পক্ষে সেটা সম্ভব এবং আওয়ামীলীগ সব সময় বলে থাকে বা সেটা খুব ভালো ভাবেই চর্চা করে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক শক্তির উৎসের ঐক্যের মাধ্যমে আমরা বাঙালি জাতির ভবিষ্যত গড়তে চাই।

যেটা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হচ্ছে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার দৃষ্টান্তের জন্য আপনাদের সামনে অসংখ্য তথ্য-উপাত্ত দিতে পারি। সেটা আপনারাও জানেন এবং আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনগুলোতে আওয়ামীলীগ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে।

ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে সোনার বাংলা গড়তে চাই, ইনশাল্লাহ, আমরা সকল ধরনের ষড়যন্ত্র এবং যতপ্রকার প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন বাংলাদেশকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

তারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগের সেই সরকারের দিকে যেতে চান। এর থেকেই বোঝা যায় যে, এরা কোনভাবেই বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেন না‌ বাংলাদেশে বসবাস করলেও মানসিকতায় তারা সেই একাত্তরের পূর্ববর্তী অবস্থানের সেই জায়গায় তারা স্থির ভাবে আছে।

পাশাপাশি তারা আওয়ামীলীগ এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য জননেত্রী শেখ হাসিনা বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য একের পর এক মিথ্যা প্রচার, প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। তারমধ্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, এই ধরনের একটি ভুয়া অভিযোগ তারা তুলেন। তাদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ তারা তুলেন।

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ‌ কিন্তু কারণে-অকারণে তারা বিভিন্নভাবে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে কিংবা দূতাবাসে দিয়ে নালিশ করে। কিন্তু এসব কাজের জন্য আমরা তাদের লজ্জা শরমের কোন বালাই দেখিনা। তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে এসব করে।

বিএনপি জামায়েত জোট সরকারের সময় গ্রেনেড বোমা হামলাসহ বিভিন্ন জঙ্গিবাদের মাধ্যমে তারা সারা দেশকে যে অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল এই জায়গা থেকে সেই জঙ্গিবাদের মূল হোতাদেরকে আইনের আওতায় এনেছে, গ্রেপ্তার করেছে এবং নির্মূল করেছে এই রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (RAB)। এই ক্ষোভের কারণে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে বিরোধীরা।

আরেকটা বিষয় দেখুন, গুমের যে কথাগুলো বলা হয়। আমরা যখন তালিকা দেখি, সেই তালিকায় দেখা যায় ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি নেতাদের নাম রয়েছে। অন্য দেশের নাগরিকদের নাম রয়েছে বা বিভিন্ন ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে, পারিবারিক সমস্যার কারণে, অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে আত্মগোপনে যান এই ধরনের কিছু নাম বা আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার আগে কিছু আত্মগোপনের যাওয়া ব্যক্তিদের নামও সেই তালিকাতে দেখা যায়।

আজকে আপনারা যেদেশে বসবাস করেন সেটা অনেক উন্নত দেশ। অথচ এই উন্নত দেশেও নিরাপত্তা জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা থাকার পরেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।

আমাদের দেশে স্বাভাবিকভাবেই জনসংখ্যা আধিক্য রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা সেই অনুপাতে অনেক কম। কিন্তু আমি মনে করি তারপরেও আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ, সামাজিক মূল্যবোধের কারণে আমাদের সমাজ এখনও অন্যায় বা অনিয়ম থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে। সেটা যে শুধুমাত্র আইনের কারণে বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারণে ঘটে এমন নয়। সেটা পারিবারিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের জায়গা থেকে অনেকটাই কাজ করে।

মিডিয়ার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের গুরুত্ব উল্লেখ করে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং বিশেষ করে মিডিয়ায় নেতিবাচক সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন সংবাদ পরিবেশন করা হয়, যেটা সমাজ ও দেশের বিরুদ্ধে চলে যায়। আজকে আপনাদের এই রাজ্যে, এই সমাজে অনেক কিছু সরাসরি না থাকলেও জাতির বিরুদ্ধে, কমিউনিটির বিরুদ্ধে, সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে যায় এই ধরনের কোন বিতর্ক বা ক্ষতিকর সংবাদ থেকে কিন্তু গণমাধ্যমকর্মীরা নিজের একটা জায়গায় থাকেন।

কিন্তু আমরা দেখি যে তথাকথিত কিছু ইউটিউব বা অন্যান্য মিডিয়ায় যেভাবে বিদ্বেষমূলক সংবাদ পরিবেশিত হয় তা খুবই দুঃখজনক। একটি মিথ্যা কথাকে বারবার বললে সেটি সত্যে পরিণত করা যায়। এই কাজগুলো কিন্তু তারা করে যাচ্ছে।

সেনাবাহিনী থেকে বহিস্কৃত বা বিভিন্ন মিডিয়ায় যারা ছিলেন। তাদের সংখ্যা হয়তো দুই, চার জন হবে, এদেরকে দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনের কারণে কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া বা সেখান থেকে সরিয়ে দেয়ার পরেও এইসব আবর্জনা ইউটিউবে এই কাজগুলো করছে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনা উল্লেখ করে নাদেল বলেন, তথ্য প্রযুক্তির কারণে আজকে আমাদের ফ্রিল্যান্সিং এর সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশে তথ্য প্রযুক্তির এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়। ভারত যেভাবে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়েছে, আমরা সেভাবে পারিনি।

আমাদের সুযোগটা ছিল ৯০ এর দশকের দিকে। যখন সাবমেরিন কেবল দেওয়া হয়। দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার হয়ে যাবে, এই ধরনের একটি অজুহাত তুলে আমরা সেই সুযোগটা গ্রহণ করিনি।

অনেক দেরিতে আমরা ইন্টারনেটের এই সুবিধাটা পেয়েছি। যেটা আমাদের সৌভাগ্য। একটা দেশ বা জাতির জন্য এক বছর, দুই বছর, তিন বছর এটা কিন্তু অনেক বিশাল সময়। আমাদের ব্যক্তিজীবনেও যেমন একটা দিন বা বছর গুরুত্বপূর্ণ, একটা জাতির জন্য তেমনি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে নাদেল বলেন, আওয়ামীলীগ ধারাবাহিকভাবে তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। এসব তথ্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোও বলে যাচ্ছে।

আমেরিকা, ইংল্যান্ডের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানেরা বাংলাদেশের অগ্রগতিতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।

উন্নয়নশীল দেশের কাছে রোল মডেল হিসেবে তারা উল্লেখ করে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। আমাদের ছোট্ট দেশে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে, সীমাবদ্ধতা রয়েছে, ব্যাপক জনসংখ্যা রয়েছে, জনসংখ্যার চাপ রয়েছে।

কিন্তু এই জনসংখ্যাকে জনশক্তি হিসেবে কিভাবে ব্যবহার করা যায়, সেজন্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আজকে আমাদের মাথাপিছু আয় পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়েছে। আমাদের বৈদেশিক রেমিটেন্স নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন ‍কিন্তু সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ আমাদের রেমিট্যান্সকে ধারাবাহিকভাবে সচল রেখেছে।

পদ্মা সেতু বর্তমান সরকারের সবচেয়ে সফল পদক্ষেপ। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পদ্মাসেতুর বাস্তবায়ন আমাদেরকে বিশ্বের বুকে সম্মানিত করেছে। আমরা যুদ্ধজয়ী জাতি। নৈতিকতা ও সাহসের সঙ্গে আমাদের রক্তকণিকায় মিশে আছে।

ঢাকা শহরের অবকাঠামোতে মেট্রোরেল পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা, কর্ণফুলী টানেল, পারমাণবিক বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করা, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই কিন্তু বাংলাদেশে দৃশ্যমান একটা অগ্রগতি আমরা দেখতে পাই।

কিন্তু এই সময়ে সরকার অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছে। জামায়াত বিএনপি’র নেতৃত্বে যে শক্তি যারা একাত্তরের পরাজিত হয়েছিল তারা আজও দেশ বিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছে। দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে এরা সদা তৎপর। পঁচাত্তরে তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে আবার পেছন দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ড দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করছে। প্রকাশ্যে তারা মিডিয়ার সামনে বলেন যে পাকিস্তান আমল ভালো ছিল। স্বাধীন দেশে এই সময়ে দাঁড়িয়ে কিভাবে তারা এতো জঘন্য মানসিকতা নিয়ে এই কথাগুলো বলতে পারেন এটা আমাদের বোধগম্য নয়।

আজকে পাকিস্তানের কি অবস্থা! একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার, গণতন্ত্র নেই, মানুষের জানমালের কোন ধরনের নিরাপত্তা নেই, জঙ্গিবাদের থাবায় অনেকটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে পাকিস্তান। সেই রাষ্ট্রের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে তুমুল আগ্রহ আমাদের দেশের বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে।

সরকারি পরিকল্পনা সম্পর্কে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, সরকার যখন কোন নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আসে, তখন সেটার পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা থাকতে পারে।

কিন্তু যখন একটা সরকার কিছু পরিকল্পনা করে তার পিছনে অনেক অর্থব্যয় হয়। বিভিন্নভাবেই প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে সম্পৃক্ত হয়ে থাকেন। মানুষের ট্যাক্সের টাকায় সেই কাজগুলো হয় কিন্তু অন্য আরেকটি সরকার আসার পর, সেই পূর্বের পরিকল্পনাগুলো বাতিল হয়ে যায়।

এই দৃষ্টান্ত দেখেছি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগ সরকারের নেওয়া ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষদের জন্য ‘কমিউনিটি ক্লিনিক‌’ যা বিএনপি জোট সরকার এসে এটি বাতিল করে দেয়।

প্রতিহিংসার রাজনীতি আমাদের দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পথকে বাধাগ্রস্থ করছে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এই সকল প্রতিহিংসার রাজনীতি দূর করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে চলছে ।

আরও পড়ুনঃ জালালাবাদ সোসাইটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

 

Back to top button