যে কারণে বয়সে বড় নারীকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে বেছে নেন পুরুষেরা
অসম বয়সী প্রেম। পরবর্তীতে বিবাহ বন্ধন। ফলাফল অসম বয়সী দম্পতি। অর্থাৎ অনেক পুরুষ আছেন, যারা তাদের চেয়ে বয়সে বড় নারীর প্রেমে পড়েন ও তাদেরকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে বেছে নেন।
আধুনিক সমাজে এ বিষয়টি খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। সেক্ষেত্রে বয়সে বড় নারীর প্রতি পুরুষদের আকৃষ্ট হওয়া ও তাদেরকে সঙ্গী বা স্ত্রী হিসেবে হিসেবে বেছে নেওয়ার আসল কারণ কী?
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে:
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মানও বাড়ে। আর কনফিডেন্স দেখেও অনেক তরুণরা বয়স্ক নারীকে পছন্দ কনে। এমন নারীরা সহজে কারও সঙ্গে যুক্তিতে জড়ান না। তারা জানেন কীভাবে কঠিন সময় মোকাবিলা করতে হয়।
তাছাড়া, বয়সে বড় নারীরা জীবন সম্পর্কে আরও বেশি পরিপক্ক ও অভিজ্ঞ হন। ফলে তারা একটি সম্পর্ক সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করে গড়ে তোলেন। আর এ আশাতেই কমবয়সী পুরুষরা বয়সে বড় নারীর প্রেমে মজেন।
এদিকে, নারীর পরিপক্কতার স্তর অসম সম্পর্কের মধ্যে কখনো আঁটসাঁট করে না। তারা সঙ্গীকে স্বাধীনতা দেয় ও বিশ্বাস করে।
অনেকে পুরুষের মতে, বয়সে বড় নারীরা শারীরিক সম্পর্কের বিষয়েও পরিপক্ক হন। অনেক অল্পবয়সী পুরুষ স্বীকার করেছেন, তাদের বয়স্ক সঙ্গীরা যৌনসঙ্গী হিসেবেও ভালো।
উল্লেখ্য, ম্যাচিউর ও বয়সে বড় নারীরা গসিপ করেন না। যেহেতু তারা অভিজ্ঞ, সেহেতু তারা জানেন কীভাবে বিষাক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। তাই তারা কখনো হতাশ হন না, এমনকি সঙ্গীর উপর বোঝা হন না।
বয়স্ক নারীদের প্রেমে পড়ার আরও এক কারণ হলো আর্থিক নিরাপত্তা। জীবনসঙ্গীর বিপদের সময় পাশে দাঁড়াতে এমন নারীরাই উপযুক্ত ভূমিকা রাখেন।
একজন অল্পবয়সী পুরুষ বয়স্ক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর মাধ্যমে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখেন ও জ্ঞানার্জন করতে পারেন। যা সাংসারিক জীবনে ব্যাপক সুবিধা দিতে পারে।
তথাপি, উভয় অংশীদার যথেষ্ট পরিপক্ক হলে সম্পর্কে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ে।
সর্বোপরি, বয়স্ক নারীরা মানসিকভাবে পরিণত। সম্পর্কের একটি দুর্বল মুহূর্তে, তারা অপ্রয়োজনীয় কোনো কর্মকাণ্ড করে না যাতে পুরুষরা বিরক্তবোধ করেন। বয়স্ক নারীরা তাদের আবেগ সহজেই পরিপক্কভাবে পরিচালনা করতে পারেন।
আরোও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণদের স্বাধীনভাবে বসবাসের তাগিদ