স্বাস্থ্য

যে কারণে ইফতারে পেঁপে খাওয়া উচিত

 

 

রমজানে সাড়া দিন রোজা শেষে ইফতারে বিভিন্ন পদের সঙ্গে কয়েক রকম ফলও থাকে। এর মধ্যে ইফতারে পেঁপে খেলে অনেক উপকার হয়। রোজা রেখে অনেকেই পেটের সমস্যা হয়,তাদের জন্য পেপে খুব উপকারি ফল।পুষ্টিবিদরা বলছেন, খালি পেটে পাকা পেঁপে খেলে শরীরে নানা উপকার পাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেঁপেতে থাকে ভিটামিন এ, সি, কে। সেইসঙ্গে আরও থাকে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও প্রোটিন। প্রয়োজনীয় ফাইবারের দেখাও মেলে এই ফলে। তাই নিয়মিত পেঁপে খেলে হজমের সমস্যা কমে। রোজায় যারা পেটের নানা সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রেও উপকারী এই ফল। পেঁপে খেলে তা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। যে কারণে কমে বিভিন্ন অসুখের ভয়।

হজম ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে

রোজায় হজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। ইফতারের প্লেটে পেঁপে রাখলে তা পেট পরিষ্কার করে এবং ক্ষুধা বৃদ্ধিতে কাজ করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতেও দারুণ কার্যকরী সুস্বাদু এই ফল। পেঁপে খেলে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিনও বেরিয়ে যায়। ফলে সুস্থ থাকা আরও সহজ হয়।

হার্ট ভালো থাকে

যারা নিয়মিত পেঁপে খান, তাদের ক্ষেত্রে হার্টের সমস্যার ভয় কমে অনেকটাই। এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি, ই। এসব উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যে কারণে কমে আসে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা। ডায়াবেটিসে আক্রান্তরাও ইফতারে একবাটি পাকা পেঁপে খেলে উপকার পাবেন।

ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়

ইফতারে পেঁপে খাওয়ার আছে আরও অনেক উপকারিতা। এই ফলে কোনো ক্যালোরি নেই। অপরদিকে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। তাই কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগলে প্রতিদিন ইফতারে একবাটি করে পাকা পেঁপে খেতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে অন্যান্য রোগের আশঙ্কাও কমে আসবে।

চোখ ভালো থাকে

চোখের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। অল্প বয়সে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে অনেকের। এদিকে গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পাকা পেঁপে খেলে চোখের সমস্যা দ্রুত কমে আসে। পেঁপেতে থাকা উপকারী ভিটামিন চোখ ভালো রাখতে কাজ করে। তাই এই রমজানে ইফতারের তালিকায় রাখুন পেঁপের নাম।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

উপকারী ফল পেঁপেতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। এছাড়াও এতে আছে আরও অনেক পুষ্টিকর উপাদান। যেসব উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পেঁপেতে থাকা ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।

Back to top button