ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এ সপ্তাহেও র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে আইসিসি। ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে বা বড় কোনো টুর্নামেন্ট চলমান না থাকলে প্রতি বুধবারই দল ও খেলোয়াড়দের র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতো ‘র্যাঙ্কিং-ধারাবাহিকতা’ ছিল সাকিব আল হাসানেরও। আলাদাভাবে ব্যাটিং, বোলিংয়ে যা-ই থাকুক, সপ্তাহ শেষের অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষেই থাকত বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটারের নাম। তা–ও দু-চার সপ্তাহ বা চার-ছয় মাস নয়, বছরের পর বছর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর স্থানটা ছিল সাকিবের জন্য ‘বরাদ্দ’।
তবে সেই দিন এখন অতীত। তা–ও এতটাই যে আইসিসির ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে নামই নেই সাকিবের। অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে খেলে টেস্ট থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। পরিবর্তিত বাস্তবতায় সেটা না হলেও টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের নাম ঠিকই আছে। তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সাকিব নেই, অলরাউন্ডার হিসেবে দীর্ঘদিন শীর্ষে ছিলেন এ দুই সংস্করণেই।
সাধারণত, একজন খেলোয়াড়ের নাম র্যাঙ্কিংয়ে প্রবেশ করে কয়েকটি মানদণ্ড বিবেচনায়। যে মানদণ্ডের পুরো কাজটাই হয় অ্যালগরিদমের ভিত্তিতে, মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই। র্যাঙ্কিংয়ে ফুটে ওঠে একজন খেলোয়াড় সমসাময়িক অন্যদের তুলনায় কোথায় অবস্থান করছেন। ১ নম্বরে থাকা মানে সবার চেয়ে ভালো। এই ১ নম্বর বা ১০০ নম্বর নির্ণয়ে অনুসরণ করা হয় কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম। শুধু ব্যাট হাতে কত রান বা বল হাতে উইকেটই নয়, বিবেচনায় নেওয়া হয় ওই রান বা উইকেট ম্যাচের কোন পরিস্থিতিতে এসেছে আর প্রতিপক্ষ দলের শক্তিমত্তা কেমন ছিল।একজন ক্রিকেটার পারফরম্যান্স দিয়ে যেমন র্যাঙ্কিং তালিকায় প্রবেশ করে শীর্ষে উঠে যেতে পারেন, আবার খারাপ খেলার কারণে পেছাতে পেছাতে তলানিতেও চলে যেতে পারেন। কিন্তু সাকিবের নাম তো ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের কোথাওই নেই। বোঝাই যাচ্ছে, বাদ পড়ে গেছেন।
মন্তব্য করুন