জগলুল হুদা

জগলুল হুদাঃ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক

জগলুল হুদা আমেরিকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং জনপ্রিয় ক্রীড়া সংগঠক। তিনি জড়িত আছেন ওয়ারলেস টেলিকমিউনিকেশন ব্যবসার সাথে। এবং একই সাথে তিনি এমসিসি (মোটর সিটি চ্যাম্পিয়নশিপ) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৯৮২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা শামসুল হুদা ব্যবসায়ী। মা গৃহিণী। বাংলাদেশের নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর ১৯৯৮ সালে আমেরিকা আসেন। ২০০১ সালে মিশিগানের হ্যামট্রামিক হাই স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন।

জগলুল হুদা ছোটবেলা থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনচেতা। ‌ আবদ্ধ জীবন পছন্দ করতেন না। নিজের স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিতেন এবং সৃজনশীল কাজ করার জন্য ব্যবসাকে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেন। শুরু করেন ওয়ারলেস টেলিকমিউনিকেশনের ব্যবসা। এখান থেকে ব্যবসার হাতে খড়ি তার। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন গ্লোবাল ইনোভেটিভ গ্রুপ নামে একটি কোম্পানি। শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও তিনি এগিয়ে যান। তিনি মনে করেন, “প্রতিটা ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা থাকে। ধীরে ধীরে তার নিজের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে অতিক্রম করতে হয়।” বর্তমানে তার কোম্পানিতে প্রায় ৩০০ জন কর্মচারী কাজ করছেন।

সাম্প্রতিককালে বৈশ্বিক মন্দাই টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর কিছুটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক মন্দা সকল ব্যবসায়ী কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। আমরা আশা করি দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।” জীবনে কষ্ট ও আনন্দের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন,

আমার কষ্ট হল আমরা যখন মিশিগানে এসেছিলাম, তখন আমাদের খেলার সুযোগ ছিল সীমিত। তবে এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে। ক্রিকেটসহ সব ধরনের খেলায় বাঙালিরা এগিয়ে এসেছে। ” তিনি মনে করেন, খেলার জন্য পরিবার যদি তাদের ছেলে মেয়েদের উৎসাহ যোগাই তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম খেলায় মনোনিবেশ করবে। এবং মাদক ও অন্যান্য বাজে কাজ থেকে বিরত থাকবে।

 

আমেরিকাতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা তুলনামূলক কম। সে ক্ষেত্রে এটি কতটা চ্যালেঞ্জিং সে প্রসঙ্গে তিনি বলন, “এখানে বাঙালি খেলোয়াড় পর্যাপ্ত। নিউইয়র্কের বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ টি  ক্রিকেট টিম আছে। মিশিগানে আছে ১৫ টির মত। এছাড়াও অন্যান্য স্টেটেও আছে। কিন্তু সমস্যা হল ক্রিকেট অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি খেলা। তবে খেলোয়াড়রা যখন আর্থিক সাহায্য না পায় তখন উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। আমি মনে করি আমাদের কমিউনিটির ব্যবসায়ী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু আশা করতে পাড়বো ।

” এমসিসি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্দেশ্য  ইয়াং ছেলেদের একটা প্ল্যাটফর্ম দেওয়া। এছাড়া পরবর্তী প্রজন্মকে ক্রীড়ার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার উৎসাহ দেওয়া এবং তাদেরকে মাদকসহ অন্যান্য খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা। সম্প্রতি শেষ হলো এমসিসি টুর্নামেন্ট ২০২২। মোটর সিটি চ্যাম্পিয়নশিপ -২০২২ এ চ্যাম্পিয়ন হয় মিশিগান চিতাহ। আমেরিকার বিভিন্ন স্টেট থেকে এখানে ১০ টি দল অংশগ্রহণ করে।
জগলুল হুদা বর্তমানে এক কন্যা সন্তানের জনক। ব্যবসা নিয়ে ভবিষ্যৎ কোন উদ্দেশ্য না থাকলেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমসিসি ক্রিকেট টুর্নামেন্টেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *