যুক্তরাষ্ট্র সংবাদ
চলমান

বাড়ির দাম কমছে যুক্তরাষ্ট্রে

প্যানথিয়ন ম্যাক্রোইকোনমিক্সের অর্থনীতিবিদ ইয়ান শেফার্ডসন এই সপ্তাহে প্রকাশিত তার একটি বিশ্লেষণে বলেছেন, এ বছরের মে মাস পর্যন্ত বাড়ির দাম সর্বোচ্চ থেকে ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকের প্রকাশিত তথ্য থেকে দেখা যায় বাড়ির বিক্রয় আগস্ট মাসে ০.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। শেফার্ডসন আরও বলেন, বিক্রির নিম্নমুখীতা আরও বাড়বে, একই সঙ্গে বাড়ির দাম কমবে।

অনেক বিশেষজ্ঞ শেফার্ডসন সহ মনে করেন, মূল্যস্ফিতি এবং উচ্চ ঋণের খরচ বৃদ্ধির কারণে আবাসন খাতে ক্রেতারা পিছিয়ে গেছেন। চাহিদা কমার কারণে দামও কমতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রীক অর্থনীতিতে মন্দার কারণ হিসাবে ২০০৮ সালের আবাসন খাতের ধ্বস কাজ করেছিল। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন এবারের এই মন্দা গোটা অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম।

ইয়ান শেফার্ডসন বলেন, দাম কমার যে প্রবণতা তাতে দীর্ঘস্থায়ী পতনের সম্ভাবনা নেই যদিও আমরা এখনো আশায় আছি আগামী বছরের মাঝামাঝিতে ২০ শতাংশ দাম কমবে।

এদিকে মুদ্রাস্ফীতিকে রুখে দিতে ফেডারেল রিজার্ভ তিন দশকের মধ্যে দ্রুততম গতিতে নীতি কঠোর করছে। এই বছর নীতিনির্ধারকরা টানা পাঁচবার সুদের হার বৃদ্ধি অনুমোদনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, যার মধ্যে জুন, জুলাই এবং সেপ্টেম্বরে পরপর তিনটি ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধিসহ। তাদের সর্বশেষ বৈঠক শেষে চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এই বছরে আরও ১২৫ বেসিস পয়েন্ট হার বৃদ্ধি আলোচনায় রয়েছে। ফ্রেডি ম্যাকের মতে, ২০০৮ সালের মন্দার পর থেকে ৩০ বছরের জন্য নির্দিষ্ট বন্ধকী হারের জন্য গড় হার ৬% শতাংশের উপরে চলে গেছে। বন্ধকীর মূল্য বাড়ার কারণে নতুন বাড়ির চাহিদা ক্রমাগত কমছে। যা বাড়ির দাম কমার অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
ফ্রেডি ম্যাকের মতে, ২০০৮ সালের মন্দার পর থেকে ৩০ বছরের জন্য নির্দিষ্ট বন্ধকী হারের জন্য গড় হার ৬% শতাংশের উপরে চলে গেছে। বন্ধকীর মূল্য বাড়ার কারণে নতুন বাড়ির চাহিদা ক্রমাগত কমছে। যা বাড়ির দাম কমার অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

Back to top button