তথ্যপ্রযুক্তির নতুন দুনিয়ার নাম চ্যাটজিপিটি
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দিচ্ছে নতুন নতুন তথ্যপ্রযুক্তি ।কয়েক বছর ধরেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দাপট দেখাচ্ছে। এই সময়ে ওপেন এআই এর দুনিয়ায় সবচেয়ে আধুনিকতম সংযোজন হচ্ছে চ্যাটজিপিটি।
চ্যাটজিপিটি হলো একটি চ্যাট বট। চ্যাটজিপিটির পুরো নাম চ্যাট জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফর্মার। এটি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন একটি অ্যাপলিকেশন যাকে বলা হয় ‘লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল টুলস’। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি চ্যাটবট সিস্টেম বা আলাপচারিতা করার অ্যাপলিকেশন। এই চ্যাটবট মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করতে সক্ষম। ব্যবহারকারী যে কোনও প্রশ্নের উত্তর খুব গঠনমূলক এবং সহজ ভাবে প্রদর্শন করে এই চ্যাটবট।
এআই মডেলের দ্বারা তৈরি চ্যাটবট সম্পূর্ণ নির্ভুল এবং যুক্তি-যুক্তভাবে রেজাল্ট প্রদর্শন করে। ফলে উক্ত ব্যবহারকারী বুঝতে সুবিধা হয়। এবং কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অর্থাৎ বিজ্ঞাপন ছাড়াই কাজ করে এই চ্যাটবট। এই চ্যাটবট আপনার জন্য কবিতা লিখে দিতে পারে, আপনার পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর লিখে দিতে পারে, অর্থনীতি-রসায়ন থেকে শুরু করে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম এই চ্যাটবট।
ওপেনএআই চ্যাটবট ইন্টারনেটে উপলব্ধ টেক্সট ডাটাবেস থেকে তথ্য গ্রহণ করে কাজ করে। ইন্টারনেটে থাকা ওয়েব পেজ, ওয়েব টেক্সট, বই, উইকিপিডিয়া, আর্টিকেল সহ বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রায় ৫৭০ জিবির বেশি ডাটা সমৃদ্ধ এই চ্যাট জিপিটি। শুধু তাই নয় এই চ্যাট বটে রয়েছে ৩০০ বিলিয়ন শব্দের ভাণ্ডার। পাশাপাশি এটি একটি বাক্যের পরবর্তী শব্দটি কী হওয়া উচিত তা অনুমান করতেও সক্ষম।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এতটা এমন স্মার্ট, যা এর আগে মানুষ কখনো ভাবেনি। সে খুব সহজে প্রেগ্রামিং করতে পারে, চাকরির বা ছুটির আবেদন,রচনা লিখতে পারে, , চুক্তিপত্র, কোন ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা, ছোটখাটো প্রতিবেদন তৈরি করে দিতে পারে। এ কারণেই এটা নিয়ে সবার এতো আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, চ্যাটজিপিটি আসলে নিজে থেকে কিছু জানে না। তাকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বা তৈরি করা হয়েছে যে, সে তার তথ্যভাণ্ডারে থাকা তথ্য-উপাত্ত খুঁজে উত্তরটি তৈরি করে।