ম্যাট্রিক্স খ্যাত কিয়ানু রিভস এক সময়ের জনপ্রিয় তাঁরকার মধ্যে অন্যতম। যদিও অনেকদিন ধরে তাকে দেখা যায়নি অনস্ক্রিনে। ম্যাট্রিক্স খ্যাত এই তাঁরকার ক্যারিয়ার প্রায় ডুবতে বসেছিল। কিন্তু ‘জন উইক’ সিনেমা সিরিজের মাধ্যমে আবার সেই আগের পারমেন্সে ফিরতে পেরেছেন হলিউড খ্যাত এই তাঁরকা। সম্প্রতি তাঁর ‘জন উইক ৪’ মুক্তির পর সমালোচকদের ব্যাপক প্রশংসা প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। এই সিনেমাটির চারটি কিস্তি যে ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়েছে, তা–ই নয়, ছবিটি হলিউডের অ্যাকশন সিনেমার ইতিহাসও যেন বদলে দিয়েছে।
কিন্তু ভক্ত-দর্শকের মধ্যে অন্যরকম কৌতূহল জাগিয়েছেন ‘জন উইক ৪’-এ মাত্র ৩৮০ শব্দ বলে। সত্যি বলতে এটি অ্যাকশনধর্মী ছবিতে একটি বিরল উদাহরণ বলা চলে। এই সিনেমা জন্য তিনি ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার পারিশ্রমিক পেয়েছেন যার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬০ কোটি টাকা।
‘জন উইক’ সিনেমা সিরিজের চার পর্ব যার কোনোটিতেই অজন উইকের খুব বেশি সংলাপ নেই। সংলাপের চেয়ে অ্যাকশনই বেশি পছন্দ এই গুপ্তঘাতকের। তবে এবারের কিস্তিতে তাঁর সংলাপ ছিল মাত্রই ১০৩ লাইন, সর্বসাকুল্যে ৩৮০ শব্দ। আর ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার পারিশ্রমিক পেয়েছের মাত্র ৩৮০ শব্দ বলার জন্য, ভক্তদের মধ্যে অনেকেই মজা করে এমন মন্তব্য করেছেন হলিউডের অভিনেতাঁর।
‘জন উইক’ সিনেমা সিরিজ বিশ্লেষণ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, ছবিটির প্রথম পর্বের প্রথম ১০১ মিনিট পর্যন্ত মাত্র ৪৮৪টি শব্দ বলেছিলেন এবং চতুর্থ কিস্তিতে সেটা আরও কমেছে।
ছবিটির সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র আরও জানিয়েছে, জন উইক চরিত্রটির ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী ইচ্ছা করে তাঁর মুখে কম সংলাপ রাখা হয়েছে। রিভস ও পরিচালক মিলে প্রাথমিকভাবে লেখা অনেক সংলাপই ফেলে দিয়েছেন। উক্ত সূত্রটির মতে, রিভস ‘জন উইক ৪’-এ তাঁর জন্য লেখা সংলাপের অর্ধেকই বাদ দিয়েছেন।
ছবিটির অন্যতম চিত্রনাট্যকার মাইকেল ফিঞ্চ বলেছেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গেলেই আপনি চমকে যাবেন। কারণ, তিনি এমন একজন, যে মনে হয় কথা না বলার পণ করেছেন।
অন্যান্য সিরিজের মতো ‘জন উইক ৪’ মুক্তির পর যথারীতি বক্স অফিসে ঝড় তুলেতে পেরেছে। ১০০ মিলিয়ন ডলারের ছবিটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ৭৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যবসা করতে সক্ষম হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসের রেকর্ড।