মতামতসম্পাদকীয়

স্বাধীনতা অমর হোক, গণতন্ত্র বিকশিত হোক

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস ৪ জুলাই উদযাপিত হয় চোখ-ধাঁধানো আতশবাজি আর জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।

২৩৭ বছর আগে ১৭৭৬ সালের ২ জুলাই ইংল্যান্ডের শাসন থেকে পৃথক হওয়ার জন্য ভোট দেন আমেরিকার দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস। এর দুদিন পর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কংগ্রেস।

কিন্তু পৃথক হতে ব্রিটেনের সঙ্গে চূড়ান্ত স্বাক্ষর ২ আগস্টে অনুষ্ঠিত হলেও প্রত্যেক বছর ৪ জুলাই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে যুক্তরাষ্ট্র।

লড়াই-সংগ্রামের ভিতর দিয়েই এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি উপনিবেশ একসঙ্গে ইংল্যান্ডের রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে।

সেই বিদ্রোহ ও সংগ্রামের প্রধান সেনাপতি ছিলেন ভার্জিনিয়া উপনিবেশের জর্জ ওয়াশিংটন।

টমাস জেফারসনের লেখা ‘প্রতিটি মানুষই সমান এবং একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি’ স্বাধীনতার বাণীটি স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশদের অরাজকতা থেকে বের হয়ে আসার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।

‘গণতন্ত্রের বাতিঘর’ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র এখন বিভিন্ন ইস্যুতে জনগণকেই উপেক্ষা করছে! দেশের বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের মতে, অর্থনীতি থেকে শুরু করে যে কোনো সরকারি ব্যয়, বন্দুকনীতি, অভিবাসন এমনকি গর্ভপাত বিষয়ে মার্কিন আইন এবং নীতি জনগণের নিজস্ব ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না।

দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা ৪৯ শতাংশ মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের চর্চা ঠিকমতো হচ্ছে না। উলটোদিকে গণতন্ত্র চর্চা ঠিকভাবে হচ্ছে বলে মনে করেন মাত্র ১০ শতাংশ মার্কিনি।

আর কিছুটা ভালোভাবে চর্চা হচ্ছে বলে মনে করেন ৪০ শতাংশ নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র চর্চা হচ্ছে কিনা অথবা গণতন্ত্রে দেশের স্বার্থ দেখা হয় কিনা সে বিষয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে চালানো এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণাটি পরিচালনা করে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস অমর হোক। গণতন্ত্রের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র বিকশিত হোক এটাই প্রত্যাশা।

Back to top button