মিশিগান সংবাদ

সবজি চাষে সফল ওয়ারেনের শৌখিন চাষি সিরাজ আহমদ

প্রবাসে বাংলাদেশি অভিবাসী অনেকে দেশিয় সবজি চাষ করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় মিশিগানের কৃষি উপযোগী মাটিতে সবজি চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ওয়ারেনের বাসিন্দা সিরাজ আহমদ। বর্তমানে তাঁর তৈরি বাগানে অর্ধশতাধিক সবজির ফলন রয়েছে।

মায়ের আবদারে কৃষিজ কাজ করতে গিয়ে মায়া জন্মে যায়, এরই সূত্রে ২০১৩ সাল থেকে মিশিগানের ওয়ারেনে শুরু করেন সবজি চাষ। শখ করে শুরু করলেও এখন মিশিগানে তিনি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ সুপরিচিতি। তাঁর বাগানের সবজি অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে অর্ডার করে নিচ্ছেন। বাঙালি রেস্টুরেন্ট কিংবা বাসা-বাড়িতে তিনি চাহিদা মতো সবজি সরবরাহ করছেন। সিরাজ আহমদের শাক-সবজি ক্রয়ে বাঙালিদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শখ নিয়ে শুরু হওয়া বাগান এখন অনেকটা বাণিজ্যিকভাবে সফলতায় রূপ নিয়েছে। নিজের পরিশ্রমকে তিনি সুস্থ্য থাকার উপলক্ষ্য হিসেবে দেখেন। কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য্য নিয়ে অবশেষে সফল হয়েছেন সিরাজ আহমদ। বাংলাদেশের শাইখ সিরাজের টিভি প্রোগ্রাম তাঁকে কৃষিকাজে অনুপ্রেরণা যোগায়। তিনিও কৃষির প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে চান সকলের মাঝে। আগ্রহী যে কাউকে তিনি শিখিয়ে দিতে চান কৃষিকাজের কলাকৌশল। বাঙালির কমিউনিটির অনেকেই নিয়মিত সবজি সংগ্রহ করেন তার বাগান থেকে। তিনিও নামমাত্র মূল্যে সবজি সরবরাহ করে বেশ আত্মতৃপ্তি অনুভব করেন।

শৌখিন সবজি চাষি সিরাজ আহমদ বলেন, সুস্থ জীবনযাপনে নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি বিরাট ভূমিকা রাখে। সেই লক্ষে নিজের ও কমিউনিটির মানুষের কথা চিন্তা করে একটু বড় পরিসরে সবজি চাষ করেছি। তিনি বলেন, আমার বাগানে সিম, বরবটি, লাউ, ঝিঙা, চাল কুমড়া, করলা, কচু, কাঁকরোলসহ মোট ৫০টিরও বেশি শাক-সবজির ফলন রয়েছে। প্রতিটি সবজির ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বাগানে চাষ করা কাঁচা মরিচ ও নাগা মরিচের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।

সিরাজ বলেন, আমার চাষ করা সবজি দিয়ে নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি বড় অংশের চাহিদাও পূরণ করে থাকি। সবজি বিক্রির টাকা হতে নিজের হাত খরচ চালানোর পর দেশের অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে ব্যয় করি।

দেশিয় সবজির ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে আগামীতে সবজি চাষে বিনিয়োগকারী কাউকে পেলে বড় পরিসরে সবজি বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে সফল চাষি সিরাজ আহমদের।

Back to top button