মিশিগানে বসবাসরত লাখো বাংলাদেশীর দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে টার্কিশ এয়ার লাইন্সের সুবাদে সুখবর পেলেন মিশিগানে বসবাসরত লাখো বাংলাদেশী। এবার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে যাওয়ার পথটা অনেক সহজ হয়ে গেল মিশিগান প্রবাসীদের জন্য। গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) আমেরিকার ভেতরে কোনোরকম যাত্রা বিরতি ছাড়াই ঢাকার উদ্দেশ্যে ডেট্রয়েট মেট্রো এয়ারপোর্ট ত্যাগ করে টার্কিশ বিমান।
জানা গেছে, এখন থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে ট্রানজিটের জন্য আমেরিকার ভেতরে অন্য কোথাও যাত্রা বিরতি করতে হবেনা। যাত্রীরা ডেট্রয়েট মেট্রো এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি ১১ ঘন্টার বিরতিহীন ফ্লাইটে চলে যাবেন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এবং সেখান থেকে পরবর্তী ফ্লাইটে ঢাকায়।
তিনশো আসনের অত্যাধুনিক সুপরিসর বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রীমলাইনার টার্কিশ এয়ারলাইনসের প্রথম ফ্লাইটটি বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯ টা ৩৫ মিনিটে ডেট্রয়েট মেট্রো এয়ারপোর্ট থেকে ছেড়ে যায়। টানা ১১ ঘন্টায় প্রায় ৫ হাজার ৩ শত মাইল পাড়ি দিয়ে ড্রীমলাইনার ইস্তাম্বুলে পৌঁছায় বেলা ৩ টা ৩৫ মিনিটে।
তুর্কি এয়ারলাইন্সের ৯০ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে, শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক এয়ারলাইন মিশিগানের ডেট্রয়েটে তার ১৩তম মার্কিন গেটওয়ে খোলার সাথে সাথে তার মার্কিন নেটওয়ার্ক প্রসারিত করে চলেছে। ১৫ নভেম্বর থেকে টার্কিশ এয়ারলাইনস ডেট্রয়েট মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর (DTW) থেকে ফ্লাইট চালু হলো, যা মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলের ভ্রমণকারীদের ইস্তাম্বুল এবং পাঁচটি মহাদেশের ১২৯টি দেশে এয়ারলাইনটির ৩৪০টিরও বেশি গন্তব্যে সংযুক্ত করবে।
টার্কিশ এয়ারলাইনস সুত্রে জানা গেছে, আপাতত সোম, বুধ এবং শুক্রবার এই তিনদিন ডেট্রয়েট-ইস্তাম্বুল ফ্লাইট পরিচালিত হবে তবে আগামী বছরের শুরুতে শনিবারেও আরেকটি ফ্লাইট যুক্ত হবে এই রুটে।
ওয়েন কাউন্টি এয়ারপোর্ট অথরিটির সিইও চ্যাড নিউটন বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বেশ কিছুদিন ধরে এই খবরের জন্য অপেক্ষা করছে।” “বিদেশে পরিবারের সাথে মেট্রো ডেট্রয়েটাররা এবং যারা কেবল আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করতে চান তারা ইস্তাম্বুলের সরাসরি ফ্লাইট এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাজারে সংযোগকারী ফ্লাইটগুলি থেকে ব্যাপক উপকৃত হবেন।”
ডেট্রয়েটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের সম্প্রসারণ সম্পর্কে, তুর্কি এয়ারলাইন্সের বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান, প্রফেসর ডঃ আহমেত বোলাত, বলেছেন: “মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলে আরেকটি গেটওয়ে খোলার জন্য এটি উত্তেজনাপূর্ণ, যা প্রতিবেশী এলাকা থেকে যাত্রীদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে ডেট্রয়েট। উত্তর আমেরিকার জন্য আমাদের সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বোধন কারণ আমরা আমাদের শক্তিশালী গ্লোবাল রুট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আরও বেশি লোক এবং আরও গন্তব্যের সাথে সংযোগ স্থাপনের মিশন চালিয়ে যাচ্ছি। এই শরতে ডেট্রয়েট মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট চালু হওয়ার সাথে সাথে, আমরা ইস্তাম্বুল এবং এর বাইরে ঘুরে দেখার জন্য ভ্রমণকারীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।”