লাইফ স্টাইল

যেসব দেশে আজও বিমানবন্দর নেই

আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে আকাশ পথ। আকাশ পথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিমানবন্দর আবশ্যক। তবে পৃথিবীতে আজও কিছু দেশ রয়েছে যেখানে বিমানবন্দর নেই! চলুন নজর দেওয়া যাক কোন কোন দেশ আজ অবধি বিমানবন্দরবিহীন।

 

ভ্যাটিকান সিটি
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ হিসাবে পরিচিত এই দেশ যেখানে মাত্র আটশো কাছাকাছি জনসংখ্যার বাস। বিমানবন্দর স্থাপন করার মতো খুব বেশি জায়গা না থাকায় এই দেশে বিমানবন্দর নেই এমনকি নেই কোনো নদী বা সমুদ্রও অথচ ভ্যাটিকান সিটিকে ঘিরে রেখেছে অন্যান্য বিমানবন্দর। এসব বিমানবন্দর থেকে ভ্যাটিকান সিটিতে যাওয়ার মাধ্যম ট্রেন। সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট।

মোনাকো
মোনাকো বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্রতম দেশ যার চারদিকেই ফ্রান্স। মোনাকো এর নিজস্ব কোনো বিমানবন্দর নেই। তাই দর্শনার্থী যারা মোনাকো বেড়াতে যান তাদেরকে ফ্রান্সের বিমানবন্দর ব্যবহার করতে হয়। পরে ক্যাব বা নৌকা ভাড়া করে পৌছাতে হয় মোনাকোতে।

লিচেনস্টাইন
লিচেনস্টাইন ১৫৮ কিলোমিটারের ছোট একটি দেশ। তুলনামূলক জন্যসংখ্যাও সীমিত মাত্র ৩৯,০৩৯ জন।  সেখানে বিমানবন্দর তৈরি করতে গেলে পূর্বে আংশিকভাবে রাইনএবং পশ্চিমে অস্ট্রিয়ান পর্বতমালার জমি ব্যবহার করতে হবে। আর যেহেতু প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় দেশটির সরকার তাই কোন ধরণের কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে চায় না দেশটির সরকার। ফলাফর বিমানবন্দর ছাড়াইেআছে দেশটি। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় ১২০ কি.মি. দূরে জুরিখ বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকে।

সান মারিনো
বিশ্বের প্রাচীনতম রাজ্যগুলোর একটি হলো সান মারিনো। ইতালি দ্বারা পরিবেষ্টিত সান মারিনোর সমুদ্রে প্রবেশাধিকার নেই। তাছাড়া এটি খুব ছোট হওয়ায় কোনো বিমানবন্দর নেই। সান মারিনোর চারদিক থেকে ইতালিতে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। নিকটতম বিমানবন্দরগুলো হলো ইতালির। তাই দেশটিতে আসা পর্যটকদের ইতালির বিমানবন্দর ব্যবহার করতে হয়।

এন্ডোরা
এন্ডোরা যদিও অন্যা দেশগুলোর মতো ছোট নয় তবে এন্ডোরা বড় সমস্যা পরিবেষ্টিত পাহাড়। এটি ফ্রান্স এবং স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত। যার চারদিক ৩০০০ মিটার উচ্চতার কাছাকাছি চূড়াসহ পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। এতো উচ্চতায় বিমান উড্ডয়ন করা অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ। এই কারণে এন্ডোরাতে কোন বিমানবন্দর না রাখার সিদ্ধান্ত হয় এবং আজও বিমানবন্দর ছাড়াই আছে দেশটি।

Back to top button