বড়লেখায় রুবেল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বড়লেখা উপজেলার কেছরিগুল গ্রামের রাজমিস্ত্রী রুবেল হত্যার প্রধান আসামি সেবুল আহমদ আবারও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এতে এলাকায় সস্তি ফিরে এসেছে। সেবুলসহ হত্যাকান্ডে জড়িত সকলের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কেছরিগুল এলাকাবাসী।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় মানববন্ধনে এলাকাবাসী ও ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য ফয়জুর রহমান, ছমির উদ্দিন খটই, জামাল আহমদ, বাবুল আহমদ, বুলু মিয়া, কুটন মিয়া, তুতি মিয়া, আব্দুর রউফসহ প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা রাজমিস্ত্রী রুবেল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন রাজমিস্ত্রী রুবেল হত্যার প্রধান আসামি সেবুল আহমদ জামিনে এসে ভোক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে নিয়ে আপোস মিমাংশার জন্য নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। এছাড়াও মিথ্যা মামলা দিয়ে ভোক্তভোগী পরিবারকে হয়রানি করছে। প্রধান আসামি সেবুল আহমদের এহেন তৎপরতা এবং মারমুখি আচরণে রাজমিস্ত্রী রুবেলের পরিবারসহ এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন বড়লেখা সদর ইউনিয়নের সাময়িক বরখাস্তকৃত ইউপি সদস্য সেবুল আহমদ। হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। দ্বিতীয়বার ১ আগষ্ট জামিন আবেদনে এজাহার টেম্পারিং করে জামিন পান। এরপর ১৩ আগষ্ট তার নাম খতিয়ে দেখেন এবং তার জামিন বাতিল করে দেন। একইসঙ্গে তাকে গ্রেফতার ও আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন। এবং গত ২২ অক্টোবর মৌলভীবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নিতে গেলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ এপ্রিল জুম্মার নামাজের পর কেছরীগুল জামে মসজিদে ইমাম নিয়ে ঝগড়া-বিবাদের একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। একসময় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রুবেল আহমদ’কে আসামীরা রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই ‘ফয়ছল আহমদ’ ইউপি সদস্য সাবুল আহমদকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫-১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় হত্যা মামলা করেন।