এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন পাইলট অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, করোনাকালে বিমান কর্তৃপক্ষ জুনিয়র পাইলটদের বেশ কয়েকজনকে বেতনই দেয়নি, ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার তো প্রশ্নই ওঠে না। একটি সংস্থার প্রধানের মুখে এমন বক্তব্য মানায় না। তিনি বলেন, নবীন ফার্স্ট অফিসার যাঁরা কেবল চাকরিজীবন শুরু করেছেন, তাঁদের বিমান ফার্স্ট অফিসার হিসেবে স্বীকার করতে চাচ্ছেন না। দীর্ঘ সময় তাঁদের কোনো বেতন দেওয়া হয়নি।
এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কর্তন ও ভাতা বন্ধ করলেও বিমান কর্তৃপক্ষ লভ্যাংশ শেয়ার করার কথা ভাবছে। গত ২৪ জানুয়ারিতে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ সভা হয়। সেখানে আলোচনা ওঠে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের লভ্যাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শেয়ার করার। ওই সভায় বিমানের একজন সদস্য প্রশ্ন তোলেন, ‘যেখানে সবার বেতন দিতে পারছেন না, সেখানে লাভ শেয়ার করার প্রশ্ন আসে কী করে?’
এই দিকটির কথা ইঙ্গিত করে বিমানের এক জ্যেষ্ঠ পাইলট প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক দিকে বিমান বেতন কাটছে। আরেক দিকে মুনাফা বোনাস দিতে চাচ্ছে। এ থেকেই বোঝা যায়, বিমানের কাছে টাকা আছে। কিন্তু তারা কর্মীদের পুরো বেতন দিতে চায় না।’
এ বিষয়ে কথা হয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনার সময়ে পাইলটরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাঁদের প্রতি আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা কাজ করেছেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ বিমান খুব বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে না গেলেও সময়টা বেশ খারাপ গিয়েছে।’ মাসখানেকের মধ্যে পাইলটসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কর্তনবিষয়ক সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।