মাত্র ৩ জিবি ডিস্ক স্টোরেজ থাকলেই ইনস্টল করা যাবে উইন্ডোজ ১১
উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষুদ্র সংস্করণ পাওয়া যাচ্ছে টাইনি ১১ কোর প্রজেক্টে। এই প্রজেক্টে টাইনি ১০ ও টাইনি ১১ সিরিজের নতুন সংস্করণ এসেছে। এই সংস্করণের উইন্ডোজ ১১ মেশিনে ইনস্টল করলে হার্ডডিস্কে মাত্র ৩ জিবি জায়গা দখল করে। এক্স প্ল্যাটফর্মে @NTDEV_ নামে একজন ডেভেলপার এই প্রজেক্ট তৈরি করেছেন।
মূল উইন্ডোজ ১১-এর অপ্রয়োজনীয় ফিচারগুলো বাদ দিয়ে এর আকার বড় জোর ১৭ জিবি কমানো সম্ভব। যেখানে অফিশিয়াল উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করতে ডিস্কে কমপক্ষে ৬৪ জিবি জায়গা লাগে। টাইনি ১১ কোর প্রজেক্টের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম থেকে উইন্ডোজ কম্পোনেন্ট স্টোর, উইন্ডোজ ডিফেন্ডার, মাইক্রোসফট এজ, উইন্ডোজ আপডেটসহ বেশ কয়েকটি সার্ভিসে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এই পরিবর্তনগুলোর ফলে ক্ষুদ্র সংস্করণের এই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্রাউজার এবং ডিফল্ট অ্যান্টিভাইরাস (ডিফেন্ডার) থাকে না। এ ছাড়া উইন্ডোজের আপডেট দেওয়া যায় না। নেটওয়ার্ক ড্রাইভারও বিল্টইন থাকে না। তবে খুব সহজেই প্রয়োজনীয় ড্রাইভার ইনস্টল করা যায়।
টাইনি ১১ কোর প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, টাইনি ১১ কোরের আইএসও ফাইলের আকার মাত্র ২ জিবি। ডিভাইসে ইনস্টল করলে ৩ জিবির চেয়ে একটু বেশি জায়গা দখল করে। ফলে ডিস্কে কম জায়গা থাকলেও উইন্ডোজ ১১-এর এই সংস্করণ ব্যবহার করা যায়। টাইনি ১১ কোরের সাইজ ছোট হলেও এতে মাইক্রোসফট স্টোর বা অন্যান্য সোর্স থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা যায়।
অনেক ফিচার বাদ দেওয়ার পর আকার মাত্র ২ জিবিতে নামিয়ে আনা হলেও টাইনি ১১ কোরের অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে সাধারণ কাজ অনায়াসেই করা যায়। তবে যেসব কাজে কম্পিউটার অনেকক্ষণ ধরে চালু রাখতে হয়, সেসব ডিভাইসে এই সংস্করণ ইনস্টল না করাই ভালো।