ইংল্যান্ডের সাথে বিশাল ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ
৩৬৫ রানের বড় লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে ৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর ২২৭ রানে অলআউট হয়ে ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে সাকিব বাহিনী।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই হয়তো ইংলিশদের শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান অধিনায়ক সাকিব। একাদশে বাড়তি স্পিনার যুক্ত করা হয়। শুরুতে মুস্তাফিজ-শরিফুলরা বেশ কিছু ভালো ডেলিভারি দিলেও ভাঙতে পারেননি জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালানের জুটি।
ইংল্যান্ড দলটি শুরুতে ১১৫ রানের জুটি গড়তে সক্ষম হয়। ওপেনার ডেভিড মালান ১০৭ বলে ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে ১৬টি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছক্কার শট আসে। তার সঙ্গে জুটি গড়া জনি বেয়ারস্টো খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। আটটি চার ও একটি ছক্কা সাথে নিয়ে ৬৮ বলে ৮২ রানের ইনিংস আসে তিনে নামা জো রুটের ব্যাট থেকে। এরপর জস বাটলার ও হ্যারি ব্রুক ২০ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড ৩৬৪ রান স্পর্শ করে। ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ভারতের ধরমশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। রিচ টপলির ইন সুইং বলে জুনিয়র তামিমের ব্যাটের কানায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ধরা পড়ে। আউট হওয়ার আগে ২ বলে করেন ১ রান।
তারই ধারাবাহিকতায় একে একে সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল শান্ত (০), সাকিব আল হাসান (১) মেহেদী মিরাজ (৮)। ওই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ফিফটি করে ফিরে যান লিটন দাস। তিনি ৬৬ বলে সাতটি চার ও দুই ছক্কায় ৭৬ রান করেন। পরে মুশফিকুর রহিম ৫১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রানের ইনিংস। শেষ দিকে শেখ মাহেদী (১৪), তাসকিন (১৫) ও শরিফুল (১২) চেষ্টা করেও হারের ব্যবধান ছোট করতে পারেননি।
বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ৭৫ রানে ৩টি ও শেখ মাহেদী ৭১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।